ফের লাল হলুদে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বড়সড় ঘোষণায় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, ইমামি গ্রুপের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে ইস্টবেঙ্গল।
Advertisment
নবান্নে ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামি গ্রুপের আলোচনা হয়। মূলত মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় ইমামি গ্রুপ ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগ করতে রাজি হয়। তারপরেই সরকারিভাবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন দুই পক্ষের গাঁটছড়া হওয়ার বিষয়টি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, "বাংলার ফুটবলের ঐতিহ্য ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলও মোহনবাগানের মত আইএসএলে অংশ নেবে। ইমামি গ্রুপ ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগ করায় ওঁদের যাবতীয় সমস্যা মিটছে।"
বেশ কয়েক বছর ধরেই মাঠের বদলে মাঠের বাইরের ইস্যু নিয়ে বারেবারে আলোচনায় উঠে এসেছে লাল হলুদ শিবির। কোয়েসের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বিচ্ছেদ হয় ইস্টবেঙ্গলের। শ্রী সিমেন্টের সঙ্গেও গাঁটছড়া বাঁধায় অন্যতম ভুমিকা পালন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বছর দুয়েক গড়াতে না গড়াতেই সেই সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফুলস্টপ পড়ে। ক্লাবের মালিকানা সংক্রান্ত একাধিক ইস্যুতে ইস্টবেঙ্গনের সঙ্গে শ্রী সিমেন্টের মত পার্থক্য তৈরি হয়।
গত এপ্রিলে শ্রী সিমেন্টের তরফে ক্লাব লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সেরে ফেলে দুই পক্ষ।
তারপরে নতুন বিনিয়োগ কারী হিসাবে একাধিক সংস্থার নাম উঠে এসেছিল। প্ৰথমে বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপের নাম উঠে আসে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী হিসাবে। তবে দুই বাংলার ঐতিহাসিক সেই চুক্তির বাস্তবায়ন ঘটেনি।
এরপরেই উঠে আসে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের নাম। বলা হচ্ছিল লাল হলুদে রেড ডেভিলসরা নাকি মালিক হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে। সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন স্বয়ং মহারাজ। ইডেনে প্লে অফ শুরু হওয়ার মাত্র ২৪ ঘন্টা আগে মহারাজ বড় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
সেই জল্পনার রেশ কাটার আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন বসুন্ধরা কিংবা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড নয়, ইস্টবেঙ্গলে পদার্পন ঘটছে ইমামি গ্রুপের।