জর্জ টেলিগ্রাফঃ ১ ইস্টবেঙ্গলঃ ০
(জাস্টিস মর্গ্যান)
কলকাতা লিগে প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছে মোহনবাগানকে। মোহনবাগানের পথই অনুসরণ করল পড়শি ইস্টবেঙ্গল। শুরুর ম্যাচেই জর্জ টেলিগ্রাফের কাছে হেরে লিগ অভিযান শুরু করল লাল হলুদ ব্রিগেড। ডুরান্ডের মতো কলকাতা লিগে বিদেশি খেলানোর সুযোগ ছিল না ইস্টবেঙ্গলের কাছে। আইনি জটিলতায় হাইমে স্যান্টোস, বোরহা কিংবা কাশিম আইদারাদের মতো তারকাদের নামানোর সুযোগ ছিল কোচ আলেয়ান্দ্রোর কাছে। একমাত্র বিদেশি হিসেবে মার্তি ক্রেসপি ছিলেন প্রথম একাদশে। অন্যদিকে, জর্জ টেলিগ্রাফ সানডে, ইচে কিংবা জাস্টিস মর্গ্যানদের মতো তারকাদের প্রথম একাদশে নামিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে বিদেশি-ফ্যাক্টরেই এদিন কার্যত হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
দু-দলই এদিন তুল্যমুল্য ফুটবল উপহার দেন। গোল লক্ষ্য় করে একাধিকবার দুই দল আক্রমণ শানায়। তবে ফিনিশিং লাইন পেরোতে ব্যর্থ লাল-হলুদ ফুটবলাররা। জর্জ গোলকিপার লাল্টু এদিন অনবদ্য। একাধিকবার ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ রুখে দেন তিনি। একবার বিদ্যাসাগর সিংয়ের নিশ্চিত গোলমুখী শট বাঁচিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি মোহনবাগান প্রাক্তনী ইচেজোনা সারাক্ষণ রক্ষণে নির্ভরতা দিয়ে গেলেন।
আরও পড়ুন
জর্জের দুই স্ট্রাইকার সানডে এবং জাস্টিস মর্গ্য়ানও অনেক সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তবে একইভাবে ফিনিশিং লাইন পেরোতে পারছিল না। শেষ মুহূর্তে রক্ষিত ডাগরকে পেরিয়ে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়ান মর্গ্যানই।
প্রথমার্ধের শেষে খেলা ছিল গোলশূন্য। তবে বিরতির পরে তিনটে পরিবর্তন ঘটান কোচ আলেয়ান্দ্রো। প্রকাশ, শুভনীল এবং অভিজিৎ সরকারকে তুলে তিনি নামান যথাক্রমে রোলপুইয়া, ব্রেন্ডন এবং পিন্টু মাহাতোকে। কিন্তু খেলার ফলাফলে কোনও প্রভাব পড়েনি।
দ্বিতীয়ার্ধে নির্ধারিত সময়ে খেলা ছিল গোলশূন্য। ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। গোল করার নেশায় ইস্টবেঙ্গল অল আউট আক্রমণে উঠে গিয়েছিল। প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করে যান মর্গ্যান। এর আগে জোড়া ম্যাচ জিতেছিল রঞ্জন ভট্টাচার্যের প্রশিক্ষণাধীন জর্জ টেলিগ্রাফ। এদিন ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে চলে গেল জর্জ।
ইস্টবেঙ্গলঃ রক্ষিত ডাগর, সামাদ আলি মল্লিক, মেহতাব সিং, ক্রেসপি মার্তি, মনোজ মহম্মদ, তনদম্বা সিং, প্রকাশ (রোলপুইয়া), শুভনীল (ব্রেন্ডন), অভিজিৎ (পিন্টু মাহাতো), বিদ্যাগাসর সিং, রোনাল্ডো,