২৪ ঘণ্টা আগেই জবিকে হারাতে হয়েছে। জবি-হারানোর শোকে মূহ্যমান সমর্থকরা। এর মধ্যেই খবর, সুপার কাপে নাম নথিভুক্ত করেও অংশগ্রহণ না করার জন্য বড়সড় শাস্তির খাড়া নামতে পারে ইস্টবেঙ্গলের উপরে। সেক্ষেত্রে শুধু ইস্টবেঙ্গলই অবশ্য নয়, সুপার কাপে নাম নথিভুক্ত করার পরেও যে দলগুলি টুর্নামেন্টে খেলেনি, তাদের ক্ষেত্রেও শাস্তি মিলতে পারে। দিল্লি থেকে এক শীর্ষকর্তা জানিয়ে দিলেন, শাস্তি হচ্ছে এটা চূড়ান্ত। তবে নির্বাসনে পাঠানো হবে না কি আর্থিক জরিমানা করা হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। পুরো বিষয়টিই আপাতত ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি পর্যালোচনা করছে। কয়েকদিন পরেই ডিসিপ্লিনারি কমিটির বৈঠক হতে চলেছে, সেখানেই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে শাস্তি সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। আপাতত ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করছে ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার উপরে।
পরপর ধাক্কায় বেসামাল ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। আপাতত তাঁরা এই জোড়া ঘটনার দায় ঠেলে দিচ্ছেন কোয়েস কর্মকর্তাদের কোর্টে। ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলের এই দুই ঘটনার জন্য দায়িত্ব এড়াতে পারেন না কোয়েস কর্তারা। ক্লাবের পক্ষ থেকে শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, "কোয়েসই বলতে পারবে কেন জবি ইস্টবেঙ্গলে খেলল না!"
আরও পড়ুন জবি যুদ্ধে নাছোড় ইস্ট-এটিকে, বিতর্কের মধ্যেই তারকার গলায় উত্তেজনা
সূত্রের খবর, জবি জাস্টিন অনেক আগেই কোয়েসের কাছে নিজের দর বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। তবে জবিকে রাখার বিষয়ে উদ্যোগী হয়নি বিনিয়োগকারী সংস্থাটি। আর্থিক অঙ্ক বাড়ানোর কথা না বলা হলেও 'অন্যরকম' সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল আইলিগের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ডকে। জানা গিয়েছে, ২৮ তারিখ বোর্ড মিটিংয়েও কোয়েস কর্তাদের জানানো হয়েছিল, ক্লাবের একাধিক ফুটবলারের কাছে আইএসএল ক্লাবের বড় অঙ্কের প্রস্তাব রয়েছে। চুলোভাকেই যেমন চেন্নাই সিটি এফসি ৩ বছরে আড়াই কোটি টাকার চুক্তিতে নিতে আগ্রহী। তবে তাতে কর্ণপাত করা হয়নি।
ক্লাব বনাম বিনিয়োগকারী সংস্থার সংঘাত কত দূর গড়াবে তা অবশ্য স্পষ্ট হবে ফেডারেশনের তরফে শাস্তি ঘোষণার পর।