East Bengal Mohun Bagan fans protest: অনেক চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তবে তা হল না। ডার্বি বাতিল করা হলেও জমায়েত এড়ানো গেল না। ইস্ট-মোহন জনতা হাতে হাত মিলিয়ে প্রতিবাদে সরব হল লাল-হলুদ, সবুজ মেরুন জনতা।
ডার্বিতে এবার বিপদ বোঝা গিয়েছিল আগেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ কাণ্ডে সরব হয়েছিলেন সমর্থকরা। আঁচ পেয়েছিল শাসক দল। যুবভারতীতে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। গোটা বিশ্বের ফুটবল সমাজের শিরোনাম হয়ে উঠতে পারে রবিবাসরীয় ডুরান্ড ডার্বি। এমনটা আঁচ করেই ডার্বি বাতিল করানো হয় বলে অভিযোগ।
টানা দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে টিকিট কিনে রাখা সমর্থকরা একদম শেষ মুহূর্তে জানতে পারেন ম্যাচ বাতিল হয়েছে।
ডার্বির মাঠে দুই দলের সমর্থকরা কালো জার্সিতে প্রতিবাদ জানাতে পারতেন। এমনটাই ইঙ্গিত ছিল।।এছাড়াও দুই দলের সমর্থকরা টিফো, ব্যানার, পোস্টার নিয়ে স্টেডিয়ামে আসতেন। ফুটবল মাঠে এমন প্রতিবাদের ঢেউয়ে যাতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি না তৈরি হয়, সেই জন্য বাড়তি নিরাপত্তা মোতায়েন করার প্রয়োজন ছিল। তবে শহর জুড়ে ধর্না, মিছিলের আবহে ডার্বির জন্য বাড়তি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা সমস্যার। এমনটাই নাকি পুলিশের তরফে জানানো হয় টুর্নামেন্টের আয়োজক সেনা কর্তৃপক্ষকে। তাই শেষমেশ ডার্বি বাতিলের পথেই হাঁটতে হয়েছিল।
এতে হয়েছে হিতে বিপরীত। ডার্বি বাতিল হলেও সমর্থকদের রোষ এড়ানো যায়নি।
যে যুবভারতীতে বাতিল হয়েছিল খেলা। সেই স্টেডিয়ামের ২০০ মিটার দূরেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে জড়ো হয়েছিলেন দুই দলের সমর্থকরা। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও শয়ে শয়ে সমর্থক হাজির হন প্রতিবাদ স্থলে।
ঘটনা হল, পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মীর অভাবের কথা ডার্বির আয়োজনে জন্য বলা হলেও, রবিবার দুপুরে স্টেডিয়াম সংলগ্ন চত্ত্বরে হাজির হয়েছিলেন প্রচুর পুলিশকর্মী। তবে শান্তিপূর্ণ জমায়েতের মধ্যেই লাঠিচার্জ করে পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ সমর্থকদের। কয়েকজনকে আটক-ও করা হয়। তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে।