East Bengal Mohun Bagan fans protest: পুলিশ মোতায়েন দেখে মনে হচ্ছে যেন দাঙ্গা চলছে। আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে। রবিবার বলেন, 'এটা খুবই লজ্জাজনক ঘটনা। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। একটি ফুটবল ম্যাচ হতে পারেনি। পুলিশ মোতায়েন দেখে মনে হচ্ছে যেন দাঙ্গা চলছে।' চৌবে নিজেও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। এর আগে শনিবারই ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচ বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়। রবিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ডার্বি শুরু হওয়ার কথা ছিল।
Advertisment
VIDEO | "It is very shameful; law and order has completely collapsed in West Bengal. A football match could not happen... and look at police deployment, it looks like a riot is going on," says All India Football Federation president Kalyan Chaubey after a Derby match between East… pic.twitter.com/I4ebUG7h13
পুলিশের দাবি, সুরক্ষার অভাব থাকায় ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক করে ডার্বি বাতিলের কারণ জানাতে একটি অডিও রেকর্ডিং শেয়ার করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। পুলিশের দাবি, এই সংক্রান্ত একাধিক অডিও ক্লিপ তাঁরা পেয়েছেন। যেখানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জমায়েত করা এবং হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনার কথা শোনা গিয়েছে। আর, সেই জন্যই রবিবারের ডার্বি ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।
Advertisment
তারও আগেই ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকরা ডার্বি ম্যাচের সময় আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিত হয়ে নিহত চিকিৎসকের মৃত্যুতে ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গত ৯ আগস্ট রাতে ওই ভয়ংকর ঘটনার পর থেকে গোটা কলকাতা শহর বিক্ষোভে কেঁপে উঠেছে। পুলিশ শনিবার নিরাপত্তার কারণে দুটি ক্লাবের মধ্যে হতে চলা মরশুমের প্রথম ডার্বির অনুমতি দেয়নি।
ম্যাচ বাতিলের পর রবিবার দুই প্রধানের সমর্থকরা একজোট হয়ে ডার্বির স্থান বা যুবভারতী স্টেডিয়ামের বাইরে নিহত চিকিৎসককে হত্যার প্রতিবাদে, 'We want justice'-এর দাবিতে সরব হওয়ার পরিকল্পনা করেন। বিক্ষোভকারীদের রুখতে রবিবার বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। তারপরও বিক্ষোভকারীরা জড় হলে, পুলিশ তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে। কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান কল্যাণ চৌবেও। তিনি ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত হয়ে যান। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী এক ফুটবল ভক্ত বলেন, 'আমরা কোনও রাজনৈতিক দলকে নিশানা না করে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলাম। আমাদের ডার্বি দেখতে দেওয়া হয়নি। আর, এখন যখন আমাদের বাবা-মা দেখবেন যে পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করছে, আমাদের বাবা-মা কি আর আমাদের ম্যাচ দেখতে যেতে দেবে?'