ডুরান্ডের হেভিওয়েট ডার্বির আগেই স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠল ময়দানে। ডার্বি মাঠে না গিয়ে বয়কট করার হুমকি দিয়ে বসলেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। ডুরান্ডের টিকিট বণ্টন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই টালবাহানা চলছিল।
সেই কারণেই ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আয়োজকদের সঙ্গে দুই প্রধানের বৈঠকের ব্যবস্থা করেন মঙ্গলবার। সেই বৈঠকেই নাকি দুই প্রধানকে আয়োজকদের তরফে সাফ বলে দেওয়া হয়, সদস্য সমর্থকদের কাছে টিকিট বিক্রি করলে 'গ্যারান্টি' দিতে হবে। তারপরেই ইস্টবেঙ্গলের তরফে ক্ষোভ চরমে পৌঁছয়। দেবব্রত সরকার ক্লাবের পাঠানো মিডিয়া বিবৃতিতে সাফ বলে দেন, "ডার্বির টিকিট বন্টন নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী মিটিং ডেকেছিলেন। সেই মিটিংয়ে আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। তবে গত বছর দুই ক্লাবের সমর্থকদের কাছে বিক্রি করার জন্য ৯০০০ টিকিট দেওয়া হয়েছিল। এই বছর বলা হয়েছে, টিকিট বিক্রির গ্যারান্টি দিয়ে টিকিট নিতে হবে। আমরা অন্য লোককে গ্যারান্টি দিয়ে কেন টিকিট নেব, সেটাই বুঝতে পারছি না।"
ইস্টবেঙ্গল কিংবা মোহনবাগানের জন্য ডুরান্ড কাপের আয়োজকদের বাড়তি কোনও খরচ হচ্ছে না। অংশগ্রহণকারী বাকি দলগুলোর মত। এই ইস্যু তুলে ধরেই এবার পাল্টা দিয়ে নিতু সরকার জানাচ্ছেন, "ডুরান্ড খেলার জন্য অন্য দলের জন্য যথেষ্ট ব্যয় করতে হচ্ছে আয়োজকদের। অন্য দলের ফুডিং, লজিং, হোটেল ভাড়া, বিমানের ভাড়া দিতে হচ্ছে। আমাদের ক্লাবের পিছনে তো এরকম কোনও খরচ হচ্ছে না। সেখানে আমরা সমর্থকদের জন্য দায়িত্ব নিয়ে টিকিট বিক্রি করতে চাই। তবে সেখানে আমাদের টিকিট বিক্রি করতেই হবে, এরকম নিশ্চয়তা দিয়ে টিকিট নিতে হবে। এরকম বাধ্যতামূলক জায়গায় আমরা বোধহয় নেই।"
গত বছর ক্লাবের মেম্বারদের জন্য ৪০০০ টিকিট দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই কোটা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে। লাল-হলুদের কর্মসমিতির সদস্য নিতু সরকার বলছেন, "এখন আমাদের ইনভেস্টর, স্পনসরদের জন্যও টিকিট বরাদ্দ করার বিষয় রয়েছে। মাত্র ৩০-৩৫ টা ভিভিআইপি টিকিট নিয়ে তো আমাদের কোনও কাজেই আসবে না। ডুরান্ড সাফল্যের সঙ্গে শেষ হোক। সফলতা নিয়ে আয়োজন করুক ওঁরা। আমরা নাহয় মাঠে গেলাম না। সভ্য সমর্থকদের মাঠে পাঠাতে না পেরে আমরা মাঠে গিয়ে বসে থাকলাম, এটা তো ঠিক নয়।"
এইজন্যই বুধবার জরুরিকালীন এক বৈঠক ডাকা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে। কী হবে সেই বৈঠকে? দেবব্রত সরকারের বক্তব্য, "এই বৈঠকেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব, বাকি ডুরান্ড কাপে আমরা মাঠে গিয়ে ম্যাচ উপভোগ করব কিনা।"