পড়শি মোহনবাগান নিজেদের ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখেই নামবে আইএসএলে। এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে। তবে ইস্টবেঙ্গলও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। স্পনসর নিয়ে জটিলতা থাকলেও লাল-হলুদকে দেখা যাবে আইএসএলে। এমনই অভয়বাণী দিলেন স্বয়ং ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে প্রভাবশালী এই কর্তা জানিয়ে দিলেন, "আমরাও আইএসএলে খেলব। এটুকুই বলে রাখি।"
এটিকে-মোহনবাগানের প্রথম কার্যকরী কমিটির বৈঠকেই ঠিক হয়ে যায়, ক্লাবের লোগো, জার্সির রং সব একই রাখা হবে। ইতিহ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। তারপরেই উছ্বসিত হয় লাখো লাখো সবুজ মেরুন জনতা। তবে এবার ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ভরসা দিচ্ছেন দেবব্রত সরকার।
লাল-হলুদ জনতার উৎসাহ বাড়িয়ে বেঙ্গালুরু এফসি-র কর্ণধার পার্থ জিন্দাল আবার টুইট করে জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গলকে দ্রুত আইএসএলে নিয়ে আসা হোক। জিন্দালের টুইটের বয়ান, "কাম অন ইস্টবেঙ্গলএফসি। দ্রুত আইএসএলে তোমরা যোগ দাও। শুধু তোমরাই আইএসএলে বাকি রয়েছ।"
আশা জাগালেও ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান পরিস্থিতি অবশ্য মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। কোয়েসের সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন হয়ে গেলেও এখনও স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দেয়নি বহুজাতিক সংস্থাটি। ফলে ফেডারেশনের কাছে এখনও ক্লাব নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেনি। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে ক্লাব। তাতেও আবার ছায়া ফেলেছে বর্তমান ভাইরাস সংক্রমণ জনিত আর্থিক মন্দা।
এমন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে আবার মিনার্ভা পাঞ্জাবের কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজ জানিয়েছেন, তিনি কোয়েসের ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনতে আগ্রহী। সেইসঙ্গে ক্লাবের স্পোর্টিং রাইটসও পেতে চান।
আইলিগ ও আইএসএল জয়ী মোহনবাগান- এটিকে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এখন সকলের নজর আপাতত ইস্টবেঙ্গলের দিকে। সব বাধা পেরিয়ে লাল-হলুদ কি পারবে আইএসএলে নাম লেখাতে, সেটাই দেখার।