ইস্টবেঙ্গল ২ (কোলাডো ৩৫', জবি ৭৬') মোহনবাগান ০
১৬ ডিসেম্বর ২০১৮। চলতি মরসুমের প্রথম আই-লিগ ডার্বি দেখেছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ৩-২ হারের ক্ষত আজও টাটকা মোহনবাগান সমর্থকদের মনে। ঠিক ৪৩ দিন পর রবিবার এই মাঠেই মুখোমুখি হল ইস্ট-মোহন। চলতি লিগের ফিরতি ডার্বি সবুজ-মেরুনের কাছে ছিল পরিবর্তনের, লাল-হলুদের কাছে প্রত্যাবর্তনের। আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া বনাম খালিদ জামিলের মগজাস্ত্রের লড়াইয়ে শেষ হাসি থাকল স্প্যানিশ কোচেরই। ইস্টবেঙ্গল ২-০ গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে দিল।
পুনরাবৃত্তির খেলা। ছবি: শশী ঘোষ
ম্যাচের বয়স তখন ৩৪ মিনিট কয়েক সেকেন্ড। ইস্টবেঙ্গলের এই মরসুমের নায়ক জবি জাস্টিনের দিকে তখন টিভি ক্যামেরার ফোকাস।মোহনবাগানের ডিফেন্ডার কিংসলের থেকে শিকারি বিড়ালের মতো বল ছিনিয়ে জবি মাইনাস করলেন খাইমে কোলাডোকে। স্প্যানিশ মিডিওর সামনে তখন বাগানের দুই প্রহরী ড্যারেন ডোমিনিক ও গুরজিন্দর কুমার। কিন্তু কোলাডো পায়ের ভাঁজে দু'জনকে পরাস্ত করে ডি-বক্স থেকে দুরন্ত গোল করে গ্যালারিতে মশাল জ্বালিয়ে দিলেন। তে-কাঠির নিচে বাগানের বিশ্বস্ত যোদ্ধা শিলটন পাল বলের নাগাল পেলেন না। বিরতিতে ১-০ এগিয়েই মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে খেলার রং বদলে যাচ্ছিল ডিপান্ডা ডিকার গোলে। কিন্তু অফসাইডের যাঁতাকলে তা বাতিল হয়ে গেল। মোহনবাগানের পোড়া কপালই সঙ্গী থাকল বাকি সময় জুড়ে। অন্যদিকে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে সেই জবি জ্বালিয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির মোবাইল ফ্ল্যাশলাইট। ডিকার ভাসানো কর্নারে লাফিয়ে মাথা ছুঁইয়ে স্কোরলাইন ২-০ করে দিলেন। এরপর আর বাগান ঘুরে দাঁড়াতে পারল না। গোল করে আর করিয়ে ম্যাচের সেরাও হলেন জবি জাস্টিন।