ডার্বিতে খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। মাত্র ২৪ ঘন্টা পরেই। আর তার আগে বড়সড় ঘোষণা করে ফেলল লাল-হলুদ শিবির। ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হয়ে গেলেও ফ্রি ট্রান্সফারে ইস্টবেঙ্গল এবার সই করাল বসিরহাটের তারকা গোলকিপার জুলফিকার গাজিকে। মাত্র ১৭ বছরেই প্রতিশ্রুতিমান তারকাকে সই করানো হল দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে। ভবিষ্যতের ইনভেস্টমেন্ট হিসাবেই জুলফিকার গাজির অন্তর্ভুক্তি ঘটল লাল-হলুদ স্কোয়াডে।
যুব পর্যায়ে জাতীয় দলের তারকা জুলফিকার। গত বছরেই সাফ এবং এএফসি অনুর্দ্ধ-১৭ এশিয়ান কাপে খেলেছে যুব দলের হয়ে। এএফসি এশিয়ান কাপের আগে স্পেন এবং জার্মানিতে যুব পর্যায়ের জাতীয় দলের হয়ে বেশ কিছু অনুশীলন ম্যাচও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
এমনই সম্ভবনাময় তরুণকে এবার লাল-হলুদ জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে। ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলেই বলা যায় জুলফিকারকে। ২০১৮-১৯'এ হিরো অনুর্দ্ধ-১৩ ইউথ লিগে তরুণ দে-র প্রশিক্ষণাধীন লাল-হলুদ স্কোয়াডে ছিল। ২০২১-এ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে জুলফিকার ইস্টবেঙ্গল একাডেমিতেও খেলেছে।
নিজের পুরোনো ক্লাবে সই করে জুলফিকার জানিয়েছে, "চার বছর পর ইস্টবেঙ্গলে ফিরতে পেরে বেশ লাগছে। শৈশব থেকেই আদ্যোপান্ত ইস্টবেঙ্গল সমর্থক আমি। আর সেই ক্লাবে পুনরায় খেলার সুযোগ পাওয়া অনেকটা স্বপ্নপূরণ হওয়ার মত ঘটনা। গুইতে এবং গুরনাজ দুজনেই আমার ভালো বন্ধু। জাতীয় দলের অনুর্দ্ধ-১৭ বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। কোচ, সিনিয়র সতীর্থদের থেকে যতটা পারব শেখার চেষ্টা করব। নিজের খেলাকে পরবর্তী পর্যায়ে উন্নীত করতে চাই।"
কেন জুলফিকারকে নেওয়ার পথে হাঁটল ইস্টবেঙ্গল? কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত জানাচ্ছেন, "ভবিষ্যৎ-এর জন্য এখন থেকেই সাপ্লাই লাইন তৈরি করতে চাইছি আমরা। গুইতে এবং গুরনাজের পর আরও একজন ভবিষ্যতের সম্পদকে সই করাতে পেরে উচ্ছ্বসিত আমরা। জুলফিকার দারুণ প্রতিভাবান। আমাদের গোলকিপার কোচ জাভি পিনিলোসের তত্ত্বাবধানে গাজি দ্রুত উন্নতি করবে।"