স্পনসর নেই। অর্থ সমস্যা রয়েছে। তবে ইস্টবেঙ্গলে দল গঠনের কাজ থমকে নেই। মঙ্গলবারেই তিন ফুটবলারকে সই করাল লাল হলুদ ক্লাব- বিকাশ জাইরু, কেভিন লোবো এবং শেহনাজ সিং।
করোনা সংক্রমণে ইস্টবেঙ্গলের প্রধান ইনভেস্টর কোয়েস কর্পোরেশন যাবতীয় চুক্তি ছিন্ন করেছে এক মাস আগেই। এর অর্থ ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার এবং সাপোর্ট স্টাফরা মে মাসের বেতন পাবেন না।
ইস্টবেঙ্গল একাধিক কোম্পানির সঙ্গে স্পনসরশিপের জন্য কথা চালাচ্ছে। এর মধ্যেই সোমবার সরকারি বিবৃতিতে ইস্টবেঙ্গলের তরফে ঘোষণা করে দেওয়া হলো তিন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করার ব্যাপারে। এটিকে থেকে আসছেন শেহনাজ সিং, মিনার্ভা পাঞ্জাব ও জামশেদপুর এফসি থেকে যথাক্রমে এলেন কেভিন লোবো ও বিকাশ জাইরু।
এর মধ্যে বিকাশ জাইরু ও কেভিন লোবো এবং শেহনাজ সিং তিন তারকাই পুরোনো ক্লাবে ফিরলেন। ২৬ বছরের শেহনাজ সিং ৪ বছর পরে ফিরলেন ইস্টবেঙ্গল সংসারে। এটিকের জার্সিতে শেষ মরশুমে আটটি ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন শেহনাজ। ২০১৫ সালে তাঁর অভিষেক ঘটে ওমানের বিরুদ্ধে। এর পর আরো চারটে ম্যাচ খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। ২০১৪-১৫ মরশুমে মোহনবাগানের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন এই তারকা মিডফিল্ডার।
পাঞ্জাবের এই তারকা ফুটবলার চণ্ডীগড় ফুটবল একাডেমির প্রোডাক্ট। এআইএফফ এর পৈলান আরোজের জার্সিতে প্রথম প্রতিদ্বন্দিতামূলক ফুটবলে হাতেখড়ি তাঁর। এর পর মুম্বাই সিটি এফসিতে পাড়ি জমান।
২০১৫ সালে তুর্কিমেনিস্তানের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটানো জাইরু আবার সাতটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলেছেন। ২০১৫-২০১৭ অব্দি ইস্টবেঙ্গল খেলেছিলেন এর আগে।
ইস্টবেঙ্গলের কার্যত ঘরের ছেলে হয়ে যাওয়া লোবো এটিকের হয়ে খেলার ওর লোনে গিয়েছিলেন মিনার্ভা পাঞ্জাবে। সেখানে ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে লোবো ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন।
একমাত্র বিদেশি হিসাবে ওমিদকে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এর আগে ঘরোয়া ফুটবলার হিসাবে দলে নেওয়া হয়েছে শংকর রায়, বলবন্ত সিং এবং নবীন গুরুংকে।