ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের টালবাহানা অব্যাহত। এমন পরিস্থিতিতের কর্তাদের মাথাব্যথা বাড়িয়ে এবার লাল হলুদ ক্লাবের বর্তমান শাসক গোষ্ঠীকে চাপ ইস্টবেঙ্গলের ফ্যান ক্লাবের। ইনভেস্টরের চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে কর্তাদের সই করানোর দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন লাল হলুদ সমর্থকরা।
মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্ততায় গত বছর আইএসএলের আগে শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করেন ইস্টবেঙ্গল। সেই মৌ চুক্তির ভিত্তিতেই গত বছর বড়সড় বাজেটের দল গড়ে বিপুল বিনিয়োগ করে শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ। রবি ফাউলারের কোচিংয়ে আইএসএলের প্রথম মরশুম ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটলেও, চলতি বছরে ডামাডোল অব্যাহত চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করাকে কেন্দ্র করে।
আরো পড়ুন: ডগলাস না থাকলে বাঁচতাম না! এরিকসেনকে দেখে পুরোনো ক্ষত ফের দগদগে মৃত্যুঞ্জয়ী দেবজিতের
ইস্টবেঙ্গলের তরফে বারবার বলা হচ্ছে, চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁদের। অন্যদিকে, ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, চুক্তিপত্রে সই না করলে লাল-হলুদে একটাকাও আর বিনিয়োগ নয়। আইএসএলের বাকি দলগুলির যখন দল গুছিয়ে নেওয়া প্রায় শেষ, সেই সময়ে ক্লাবের ভবিষ্যৎই চূড়ান্ত নয় লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/Screenshot_2021-06-17-21-18-34-012_com.facebook.katana_copy_720x1258_1.jpg)
এমন আবহেই কর্তাদের বিরুদ্ধে কার্যত সোচ্চার একাধিক ফ্যান ক্লাব। করোনা অতিমারীর মধ্যেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং #NituOut, #SignAndResign, #RajaEbarCharoGodi হ্যাশট্যাগ। কিন্তু ক্লাবের এমন দুঃসময়ে কেন এমন বিক্ষোভ? এক ফ্যান ক্লাবের সদস্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "যেকোনো ভাবে আগে সই করুন শীর্ষকর্তারা। সমর্থকদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। সই করে ওঁরা পদত্যাগ করতে পারেন।"
আরো পড়ুন: মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট এই মুহূর্তে অনেক ভাল! লাল-হলুদ কর্তাদের একহাত নিয়ে বিস্ফোরণ রাইডারের
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/IMG-20210617-WA0008_copy_1280x804.jpg)
ইনভেস্টরদের সঙ্গে আবার বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে শ্রী সিমেন্টের শ্রেণিক শেঠের সঙ্গে গিয়েছিলেন লাল হলুদের প্রাক্তন তারকা গৌতম সরকার, মিহির বসুরা। তাঁদেরকেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চুক্তিপত্রে সই না করলে আর এগোনো হবে না। শ্রেণিক শেঠ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলছিলেন, "আমরা ওদের জানিয়ে দিয়েছি, চুক্তিপত্রে সই না করলে আর বিনিয়োগ করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আমরা এসেছিলাম। এখন লগ্নি যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেই বিষয়টি তো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।"
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/IMG-20210617-WA0006_copy_988x1280.jpg)
স্বভাবতই, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ফ্যান ক্লাবের আর্জির বিষয়টি ভালভাবে নিচ্ছেন না ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। এক শীর্ষকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েই দিলেন, "যাঁরা এমন উদ্যোগ নিচ্ছে, আসলে তাঁদের প্রতিষ্ঠা করার জন্যই আমাদের এই লড়াই। ভবিষ্যতে যাতে এই মন্দিরে নিজেদের ছেলে-মেয়ে নিয়ে আসতে পারে, সেইজন্যই আমরা লড়াই করে যাচ্ছি!"
আরো পড়ুন: এরিকসেনের মত ভাগ্যবান নন, মাঠেই মৃত্যু শিবপুরের রাজার! এখনো আঁতকে ওঠেন সঞ্জয় সেন
সবমিলিয়ে ইস্টবেঙ্গলে যুদ্ধবিরতির কোনো ইঙ্গিতই নেই। দুই পক্ষই সমঝোতায় কবে আসবে, সেদিকেই নজর আপাতত ময়দানের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন