Sanjida Akhter, Bangladesh women footballer: রবিবারের সন্ধ্যায় কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে নামছে ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ গতবারের চ্যাম্পিয়ন ওড়িশা এফসি। আর দুরুদুরু বুক নিয়ে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলের জন্য গলা ফাটাবেন বাংলাদেশি কন্যে। বাংলাদেশ নয়, যার ঠিকানা আপাতত আগামী কয়েক মাসের জন্য কলকাতা। সানজিদা আখতারের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে নামবে লাল-হলুদ শিবির (East Bengal)। ইতিহাস গড়ার হাতছানি স্প্যানিশ কোচের কাছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে সানজিদা রবিবার সকালেই জানালেন, "ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখার জন্য লিঙ্ক চেয়ে নিয়েছি। ক্লাবের জন্য পুরো গলা ফাটাতে তৈরি আমি।"
ইস্টবেঙ্গলের তরফে ডাক পাওয়ার পর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেননি। সাড়া দিয়েছেন কলকাতা ফুটবলের ডাকে। প্রাথমিকভাবে ভিসা সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে সেই বাধা কাটিয়ে কলকাতায় পা রেখেছেন গত সপ্তাহেইম বাংলাদেশের কন্যে খেলবেন লাল-হলুদ জার্সিতে। সামনেই পুরো ফুটবল মরশুম।
আরও পড়ুন: ৪ ইস্যুতে টলে গেল কোচ স্টিম্যাচের চাকরি! ভারতীয় ফুটবলের বেনজির বিদ্রোহ প্রকাশ্যে
কতটা ফারাক দুই দেশের মহিলা ফুটবলের? সানজিদা বলছিলেন, "বাংলাদেশে বেশিরভাগ সময়ই জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকতে হয়। তাই দলের মধ্যে একাত্মবোধ বেশি। এখানে স্রেফ ম্যাচ আর টুর্নামেন্টের সময়েই সতীর্থদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ জোটে।" কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলের ফারাক উপলব্ধি করেছেন। একটু হলেও এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলকে।
সানজিদা আবেগে গদগদ হয়ে ওঠেন স্বদেশীয় ফুটবল আইকন জামাল ভূঁইয়ার নাম শুনেই। কলকাতায় খেলে যাওয়া জামালকে নিয়ে সানজিদা বলে দেন, "উনি আমাদের দেশের অনুপ্রেরণা। লা লিগাতে নিয়মিত ধারাভাষ্য করছেন। এতে বাংলাদেশের ফুটবলের মান আরও বাড়ছে।"
সোশাল মিডিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ ইস্যু নিয়েও খুল্লামখুল্লা তিনি। জানাচ্ছেন, "ক্রিকেট খেলা দেখি না। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই আজাইরা খবর দেখতে হয়। তাই নিজেকে এসব জিনিস থেকে দূরে রাখি।"
পরিণতিবোধ তাঁর কথায়, ব্যবহারে। শব্দ চয়নেও সংযত। লাল-হলুদ ফুটবলকে গর্বের আসনে তিনি বসাতে পারবেন আগামীদিনে, সময়ই উত্তর দেবে।