শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ক্লাবে শনিবার ক্লাবে পা পড়ল সালমান খানের। সেদিন-ই বড়সড় ডামাডোলে ক্লাবের মহিলা দলের হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সুজাতা কর। জাতীয় মহিলা লিগে ইস্টবেঙ্গল নিজেদের গ্রুপে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গোকুলাম কেরালা এবং স্পোর্টস ওড়িশার পর। সুজাতা করের কোচিংয়ে সাত ম্যাচে চারটেতেই জিতেছে লাল-হলুদ শিবির।
এমন অবস্থায় আচমকা সুজাতা করের পদত্যাগে বিপাকে পড়ে গেল ক্লাব। কেন হঠাৎ পদত্যাগ। সুজাতা কর ইস্টবেঙ্গলকে ক্লাবকে পাঠানো নিজের পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, টিমের সঙ্গে জড়িত থাকা "দীপ্তেন্দু মোহন বোস আমাকে প্ৰথম দিন থেকে অপমান করে চলেছেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে ভালোবাসি, তার অর্থ এই নে যে নিজের সম্মান বিসর্জন দেব। আমার সম্মানে আঘাত করার অধিকার কারোর নেই।"
এর আগেও তিনি দু-বার পদত্যাগ করেছিলেন। তবে দু-বারই তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। ক্লাব সভাপতির অনুরোধ মেনে ক্লাবে কোচিং চালিয়ে যান। তবে এবার তিনি ঠিক করে ফেলেছেন আর নয়। অনেক হয়েছে।
কীভাবে অপমানিত হতে হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলে? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র কাছে সুজাতা কর জানালেন, "উনি বারবার টিম সিলেকশনে হস্তক্ষেপ করছিলেন। বাইরে থেকে করে প্লেয়ার বসিয়ে দেওয়া, প্লেয়ার নামানো এসব বিষয় তো রয়েইছে সেই সঙ্গে আমার ক্লাস তুলে উনি বারবার অপমান করেছেন। যে আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি।"
এর আগে ক্লাবকে নিজের অসন্তোষ আকারে ইঙ্গিতে বলেছিলেন। কারোর নাম উল্লেখ করে অভিযোগের পথে হাঁটেননি তিনি। তবে শনিবার সমস্ত সংযমের বাঁধ ভেঙেছে। সরাসরি নাম উল্লেখ করেই সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন সুজাতা কর।
সকাল ১০ টাতেই ইস্টবেঙ্গল জমা পড়ে পদত্যাগপত্র। ক্লাবের তরফে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি একসময়ের জাতীয় দলের সম্পদ হয়ে ওঠা সুজাতা করের সঙ্গে।
কোথাকার জল এখন কোথায় গড়ায়, সেটাই আপাতত দেখার।