করোনার প্রভাব এবার আছড়ে পড়ল ময়দানে। ফুটবল নয়, ইস্টবেঙ্গলের ক্রিকেট দল ধরে রাখা নিয়েই এবার শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। ৯০ লাখের ঘাটতি নিয়েই এবার ক্রিকেট মরশুম শুরু করতে হবে লাল হলুদ ক্রিকেট দলকে।
জানা গিয়েছে, চলতি মরশুমের জন্য চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা এখনো পর্যন্ত কোনো টাকাই পাননি। অনেকেই বাধ্য হয়ে চিঠি লিখেছেন অধিকাংশ স্টেকহোল্ডার কোয়েসের কাছে। তবে ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার এক মাস আগেই কোয়েস ইস্টবেঙ্গল ছেড়েছে। এক কর্তা জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন কোনো ইনভেস্টর না এলে ফুটবল দলের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি সংশয়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইস্টবেঙ্গলের এক কর্তা জানিয়ে দিয়েছেন, "আমাদের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে কোয়েস ফুটবল ও ক্রিকেট দুই দলেরই দায়িত্ব নেয়। ক্রিকেটের সমস্ত খরচও বহন করছিল ওঁরা। চলতি মরশুমে কোয়েসের সঙ্গেই ফুটবলারদের চুক্তি হয়েছিল। ক্লাব কেবল মধ্যস্তকারীর ভূমিকা নেয়।"
জানা গিয়েছে, ২০১৮-১৯ মরশুমে কোয়েস ক্রিকেট দলের জন্য ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল। চলতি মরশুমে শতবর্ষের কারণে আরো ভালো দল গড়ার উদ্যোগ নেয় কোয়েস। সেই কারণেই বাংলার রঞ্জি জয়ী দলের ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ সহ অভিষেক রমন, অর্ণব নন্দী, শ্রীবৎস গোস্বামীদের সই করায়। সেই হিসাবেই ক্লাবের ক্রিকেট দলের বাজেট দাঁড়ায় ৯০ লাখে।
ইস্টবেঙ্গলের সেই কর্তা জানিয়েছেন, "গত বছরের দুর্গা পূজার আগেই কোয়েস বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা জানায়। তবে কোনো টাকা আসেনি। আপাতত আমাদের ৯০ লক্ষ ঘাটতি রয়েছে। অনেক ক্রিকেটার কোয়েসের পাশাপাশি ক্লাব মানেজমেন্টকেও চিঠি লিখেছে। দেখা যাক কী হয়! আমাদের পার্টনারশিপ শেষ হচ্ছে ৩১ মে। নতুন ইনভেস্টর না এলে ক্লাবের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।"
সঞ্জিত সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "৩১ তারিখ পর্যন্ত প্রেসের সঙ্গে কথা বলছি না আমরা। তারপরে আমরা কথা বলব।"
কিছু কিছু ইস্টবেঙ্গল ক্রিকেটার পুরো বিষয়ে সিএবির হস্তক্ষেপ চায়। তবে সিএবি এক কর্তা জানিয়ে রাখছেন, এই বিষয়ে তাঁরা নাক গলাবেন না। "এটা পুরোপুরি ক্লাবের বিষয়। ক্রিকেট এসোসিয়েশন এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে ব্যাপার আরো জটিল হয়ে পড়বে।"