এক মরশুম আগেও ইস্টবেঙ্গল কোচের হটসিটে ছিলেন। কঠিন সময়ে দায়িত্ব সামলাতে হয়েছিল স্প্যানিশ মারিও রিভেরাকে। লাল-হলুদের বাতিল হয়ে যাওয়া মারিও রিভেরাই এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোচিং করাবেন। ব্রুনেই জাতীয় দলের হেড কোচ নিযুক্ত হলেন তিনি।
মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়ে দেন, ""ব্রুনেই জাতীয় দলের হেড কোচ হতে পেরে আমি আনন্দিত। আবার এখানে ফিরতে পেরে উত্তেজনা বোধ করছি। জীবনের নতুন এই পর্ব শুরু করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।"
আরও পড়ুন: গোল্ডেন বুটের মালিক থেকে সেরা গোলকিপার! পুজোর আগেই ইস্টবেঙ্গলে একের পর এক তারকা
ঘটনা হল, আন্তর্জাতিক ফুটবলে এই প্ৰথমবার অবশ্য কোচিং করাবেন না মারিও। এর আগেও ব্রুনেই যুব দলের হেড কোচ হয়েছিলেন তিনি। এবার অবশ্য সরাসরি সিনিয়র দলের হেড স্যার।
২০১৮/১৯ মরশুমে ইস্টবেঙ্গলে মারিওর পদার্পন ঘটে হেড কোচ মারিও রিভেরার সহকারী হিসাবে। সেই মরশুম শেষে লাল-হলুদ সংসার থেকে প্রস্থান ঘটে মারিও। আলেহান্দ্রর সহকারী হিসাবে কোকো যোগ দেওয়ার পর। তবে বেশিদিন ইস্টবেঙ্গল সংসারের বাইরে থাকেননি তিনি। মরশুমের মাঝপথে আলেহান্দ্র পদত্যাগ করলে লাল-হলুদ কর্তারা ফিরিয়ে আনেন মারিও রিভেরাকে একেবারে হেড কোচ করে।
কোয়েস জমানা শেষের পরে শ্রী সিমেন্ট বিনিয়োগকারী হিসাবে আসার পরে ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ করেছিল মানোলো দিয়াজকে। তবে মানোলো বেশিদিন লাল-হলুদের হটসিটে বসতে পারেননি। মরসুমের মাঝপথে শোচনীয় ফলাফলের জন্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। রেনেডি সিংকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ করা হলেও আইএসএল-র শেষ ল্যাপে মারিওর পুনরায় আগমন ঘটে ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ হিসেবে।
তারপরে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। ইস্টবেঙ্গল দল তো বটেই ম্যানেজমেন্ট দলেও এসেছে বড়সড় বদল। শ্রী সিমেন্ট সরে যাওয়ার পরে ইমামি ইনভেস্টর হিসাবে যোগ দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। নতুন কোচ করে আনা হয়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইনকে।
আরও পড়ুন: কলকাতা লিগে ইতিহাস গড়া বিশ্বকাপার এখন পুলিশ! বাবার শেষ ইচ্ছাপূরণে ব্রত করলেন দেশসেবাকে
কঠিন সময়ে দায়িত্ব সামলানোর পরে ময়দান মহলের একাংশের ধারণা ছিল মারিওকেই হয়ত হেড কোচ করে নতুন মরশুমে নামবে ইস্টবেঙ্গল। তবে মারিও ব্রাত্যই রয়ে গিয়েছেন।
এবার অবশ্য বেশিদিন চাকরি-ছাড়া থাকতে হল না মারিওকে। ব্রুনেই মত দলের হেড কোচ হলেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোচিং-অভিষেকে কতটা সফল হতে পারবেন তিনি, তা সময়ই বলবে।