ইস্টবেঙ্গলে এখন উৎসবের মেজাজ । প্রাক শতবর্ষ উদযাপনের গন্ধে বিভোর ক্লাব। সেই গন্ধ গায়ে মেখেই রবিবাসরীয় সকালে শয়ে শয়ে সমর্থক হাঁটলেন তিলোত্তমার রাস্তায়। আগামী ১ অগাস্ট ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা দিবস। তার আগেই এক বিশেষ অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকল লালহলুদ। ঐতিহাসিক শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে কোনও রকম খামতি রাখছে না কলকাতা ময়দানের এই বটবৃক্ষ। আজ থেকে শুরু হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সেন্টিনারি সেলিব্রেশনের অনুষ্ঠান।
এদিন সকাল ন'টায় ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চন্দ্র চৌধুরির কুমোরটুলি পার্কের বাড়ির সামনে থেকে সকাল ৯টায় মশাল মিছিল শুরু হল। দু'ভাগে ভাগ হয়ে সেই মিছিল গ্রে স্ট্রিট থেকে বিধান সরণী হয়ে গণেশ চন্দ্র অ্য়াভিনিউ ও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে সেই ক্লাবে গেল। সেখানেই থাকবে শতবর্ষ স্মারক মশাল। এদিন লাল-হলুদ সভ্যসমর্থকদের ভিড়ে কুমোরটুলি পার্কের চেহারাটাই বদলে গিয়েছিল। এই মাঠেই ইস্টবেঙ্গল প্রথম অনুশীলন করেছিল।
আরও পড়ুন: দলবদলের সবচেয়ে বড় চমক! ফের ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে বাইচুং ভুটিয়া
মঞ্চে চাঁদের হাট (ছবি-অরুণিমা কর্মকার)
আরও পড়ুন: কপিল-সৌরভের পার্টনারশিপেই সেঞ্চুরির মশাল ইস্টবেঙ্গলের
পার্কেই মঞ্চ করে মশাল জ্বালিয়ে প্রদীপ উজ্জ্বলন করে সেঞ্চুরির ঘণ্টা বাজিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া, অ্যালভিটো ডি কুনহা ও ক্লাব কর্তা কর্মকমিতির সদস্য় দেবব্রত সরকার। ছিলেন রাজ্য়ের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
গোষ্ঠ পাল ও সুরেশ চৌধুরির পরিবারের লোকও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। ঘটনাচক্রে অরূপবাবু ও অতীনবাবু দু'জনেই মোহনাবাগানের ফ্য়ান। কিন্তু দেবব্রত সরকার তাঁদের ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরিয়ে এক অন্য়রকম মুহূর্তের জন্ম দিলেন। এদিন রাস্তায় ইস্টবেঙ্গলের বিশাল বিশাল ফ্ল্যাগ আর জার্সির সঙ্গেই দেখা মিলল লাল-হলুদ বেলুনে সাজানো ঘোড়ার গাড়ি। ছিল বাইক মিছিলও।