ইস্টবেঙ্গল ১ ( আইদারা ৭১')
পিয়ারলেস ২ (ক্রোমা ৬', নরহরি ৭৭')
ইস্টবেঙ্গলের দরকার ছিল তিন পয়েন্ট সঙ্গে বড় ব্যবধানে জয়। এটাই শর্ত ছিল কলকাতা লিগের খেতাবি দৌড়ে টিকে থাকার। কিন্তু বৃহস্পতিবার পিয়ারলেসের কাছে ২-১ গোলে হেরে কার্যত লিগ থেকেই ছিটকে গেল লাল-হলুদ। টানা ন’বার শহরের সেরা দল হওয়ার স্বপ্ন সম্ভবত স্বপ্নই থেকে যাবে। অন্যদিকে আট বছর পর সবুজ-মেরুন তাঁবুর বাইরে অপেক্ষা করছে কলকাতা লিগ। পিয়ারলেসের কাছে হেরে মোহনবাগানকে কার্যত লিগটা উপহার দিল ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন: ফুড কর্পোরেশনকে পাঁচ গোলের মালা পরিয়ে খেতাবের কাছে মোহনবাগান
প্রাক্তন লাল-হলুদের কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যর মুখে হাসি ফোটালেন অতীতে মোহনবাগানে খেলে যাওয়া দুই ফুটবলার। আনসুমানা ক্রোমা ও নরহরি শ্রেষ্ঠার গোলে এদিন জয় পেল পিয়ারলেস। এদিন ম্যাচের ৬ মিনিটে রহিম নবির পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ক্রোমা। ইস্টবেঙ্গলের বিশ্বকাপার ডিফেন্ডার জনি অ্যাকোস্টাও পারলেন না ক্রোমার রাস্তা রুখতে। যদিও ২৭ মিনিটে ক্রোমা চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। নরহরিকরে নামান বিশ্বজিৎ। ক্রোমার অবর্তমানে লাল-হলুদ কিছুুটা আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ম্যাচের ৭১ মিনিটে কাসিম আইদারা গোল শোধ করেন। সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল যে, ইস্টবেঙ্গল সম্ভবত ডার্বির মতোই ফিরে আসবে খেলায়। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। আইদারার গোলের ছ’মিনিটের মধ্যে নরহরির গোলে লাল-হলুদ ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। আট মিনিট অতিরিক্ত সময় পেয়েও ইস্টবেঙ্গল আর ফিরতে পারেনি।
গতকাল ফুড কর্পোরেশনকে পাঁচ গোলের মালা পরিয়ে খেতাবের আরও কাছে চলে এসেছিল মোহনবাগান। তাদের ঝুলিতে এসেছিল ২৩ পয়েন্ট। কিন্তু এদিন পয়েন্ট নষ্ট করে লাল-হলুদের দৌড় প্রায় থেমেই গেল। ইস্টবেঙ্গল শুধু পয়েন্টের নিরীখেই তিন ধাপ পিছিয়ে থাকছে না। মোহনবাগানের গোল পার্থ্যক্য সর্বমোট গোলের হিসেব অনেকটাই বেশি। এখন বলাই যায় সব ঠিক থাকলে লিগ আসছে গঙ্গাপারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে।