/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/09/Eastbengal-cover.jpg)
ডার্বির আগে শেষ মহড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ছবি: শশী ঘোষ
শনিবার সকালে যখন মোহনবাগান প্র্যাকটিস সারল নিজেদের মাঠে, তখনই ডার্বির আগে সল্টলেকে শেষ মহড়া সেরে নিল ইস্টবেঙ্গল। প্র্যাকটিসের পর লাল-হলুদ টিডি সুভাষ ভৌমিকের একটাই বার্তা। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক জয়হীন অতীত মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর তিনি।
ডার্বির অভিজ্ঞতায় ঝুলি সমৃদ্ধ সুভাষের। সে খেলাই হোক বা কোচিং। ডার্বি তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে শেষ ছ’টা ম্যাচ জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। একথাটাই ভাবাচ্ছে সুভাষকে। তিনি বলছেন, "গাড়ি কাদায় পড়লে সেটাকে টেনে তোলা মোটেই সহজ কাজ নয়। কিন্তু করতে হয়। সেরকম আমরাও শেষ ছ’টা ম্যাচ জিততে পারিনি। চাকা উল্টোতে হবে। খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে ডার্বিতে জিতেছি, হেরেছি। কিন্তু এটা এমন একটা ম্যাচ, যেখানে সবটা দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। মাঠে নামার পর খেলাটা থাকে প্লেয়ারদের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে কোচের কোনও ভূমিকা থাকে না। আমাদের ভাল খেলতে হবে। জিততে হবে। আশা করি এ’কদিন যা প্র্যাকটিস হয়েছে তাতে ভাল খেলবে ছেলেরা।"
আরও পড়ুন: ডার্বির আগে প্র্যাকটিসে ফাঁকা গ্যালারি, অ্যাকোস্টার জন্যই এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল, বললেন শঙ্করলাল
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/09/East-Bengal-Practice-Express-Photo-Shashi-Ghosheastbengal-3685-002.jpg)
The #Kolkata Derby Storyhttps://t.co/Z0wHgUsTz5@QuessConnect East Bengal FC vs Mohun Bagan AC
#indianfootball#QEBFC#footballfever#footballreligion#Comeandsupportpic.twitter.com/IuUACxybId— Quess East Bengal Football Club (@eastbengalfc) August 30, 2018
মোহনবাগানের মাঝমাঠ এ মরসুমে সমালোচিত হয়েছে। কিন্তু জ্বলে উঠেছে তাদের আক্রমণ ভাগ। সুভাষের এ প্রসঙ্গে সংযোজন, "আমার ওদের মাঝমাঠ ভালই লেগেছে। অ্যাটাকিং লাইনটা ওদের শক্তি।" অন্যদিকে যে জনি অ্যাকোস্টাকে নিয়ে এত কথা হচ্ছে, সেই কোস্টা রিকার ডিফেন্ডারকে নিয়ে আবেগ নেই সুভাষের। শুধু বললেন, "ডার্বির আগে একটা ম্যাচ খেলতে পারলে ভাল হতো জনির।" অন্যদিকে ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, "অ্যাকোস্টা দলে আসায় শক্তি বেড়েছে না কমেছে, সেটা কোচ বলতে পারবেন। আমরা একজন স্টপারের খোঁজ করছিলাম। সেটা মিটেছে।" দেবব্রতবাবুর কাছে ডার্বির দলগঠন বা ম্যাচের ভবিতব্য নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত স্পষ্ট। লাল-হলুদের নীতুর সংযোজন, "ড্রেসিংরুমে ঢোকার পর, আর ম্যাচে নামার পর বোঝা যায় খেলা কেমন হবে, আগে নয়।"