কলকাতা ময়দান তথা ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম নাম ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদ ক্লাবের আজ আর আলাদা করে কোনও বিশেষণেরই প্রয়োজন নেই। জনগণের এই ক্লাবের নাম ছড়িয়ে গিয়েছে সারা বিশ্বে। ১৯২০ সালে পথচলা শুরু হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। আগামী বছর ক্লাবের শতবর্ষ। সেঞ্চুরি করতে চলেছে রেড অ্যান্ড ইয়েলো ব্রিগেড।
১০০ বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে ইস্টবেঙ্গলের মাথায় হাজারো ভাবনা। মাইলস্টোন স্পর্শের প্রাক্কালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব শতবর্ষ উপলক্ষে তিন সদস্যের একটি কমিঠি গঠন করেছে। সেখানে রয়েছেন সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল রায় ও জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। গত বৃহস্পতিবার ক্লাব তাঁবুতে দীর্ঘক্ষণ চলে ইস্টবেঙ্গলের এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক। বৈঠকের পরে লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার মুখোমুখি হয়েছিলেন সাংবাদিকদের। তিনিই জানালেন, শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গলের কী কী পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ভবিষ্যতে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের আর বিদেশি ফুটবলার লাগবে না’
ইস্টবেঙ্গল চাইছে শতবর্ষের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিফ পেট্রন হিসেবে। এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তারা চিঠিও পাঠিয়েছে। মমতার সঙ্গে দেখাও করতে চায় ইস্টবেঙ্গল। দেবব্রত বললেন, "মোহনবাগানের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু চিফ পেট্রন হয়েছিলেন। আমরাও চাইছি মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে চিফ পেট্রন করতে। এখন দেখার, ওঁর কোনও রাজনৈতিক অসুবিধা আছে কী না। আমরা চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি। দেখাও করতে চাই ওঁর সঙ্গে।"
অন্যদিকে, আগেই জানা গিয়েছিল যে ইস্টবেঙ্গলের ১০০ বছরের অনুষ্ঠানে আসতে পারেন ৮০-র দশকের বাদশা মজিদ বাসকার। ইরানিয়ান কিংবদন্তির এজেন্টের সঙ্গে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদের। সব ঠিক থাকলে তিনি আসছেনই। আগামী ১ অগাস্ট থেকে আগামী বছর ৩১ জুলাই পর্যন্ত চলবে শতবর্ষের অনুষ্ঠান। প্রথম অনুষ্ঠানটি হবে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে।
শুধু কলকাতায় নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও ইস্টবেঙ্গল প্রচার চালাবে বলেই জানিয়েছেন নীতু। এখানেই শেষ নয়, ইস্টবেঙ্গল ইতিমধ্যেই ব্রাজিল, আর্জেন্তিনা, পর্তুগাল ও মিশরের মতো দেশের সঙ্গে কথা বলেছে যাতে তারা তাদের বর্তমান ফুটবল টিমকে এখানে খেলতে পাঠায়। পাশাপাশি, বিশ্বের প্রথম সারির ক্লাবগুলোর মধ্যে লিভারপুল ও জুভেন্তাসের কাছেও তারা প্রস্তাব রেখেছে। দেবব্রতবাবু জানিয়েছেন, ওই দেশ ও ক্লাবগুলি খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। কিন্তু বাধ সাধছে বাজেটে। বিশাল অঙ্কের টাকাই তারা দাবি করেছে।