কলকাতায় আগামীকাল, ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ভারতের প্রথম দিন-রাতের গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচ যে নিছক ম্যাচ নয়, তা এখন সকলেরই জানা। এই ম্যাচ ঘিরে যেন উৎসব শুরু হয়েছে শহর জুড়ে। এবং সেই উৎসবে সামিল দুই যুযুধান দল ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও আরও অনেকেই। যেমন বাংলাদেশের কিংবদন্তী গায়িকা রুনা লায়লা এবং এপার বাংলার জনপ্রিয় গায়ক-সুরকার জিৎ গাঙ্গুলি। এঁরা দুজনেই ম্যাচের প্রথমদিন সুরে-গানে ভরিয়ে তুলবেন ইডেন চত্বর।
কিন্তু এ ছাড়াও বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিশেষ অনুরোধে বাংলার কিছু শাশ্বত গানের ধারা পরিবেশন করবেন এই শহরেরই আরও দুই শিল্পী, সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ। তাঁদের কথায়, বাংলার "চিরন্তন" কিছু গান পরিবেশন করবেন তাঁরা, কিন্তু এমন গান, যা বাংলার বাইরেও বাংলার প্রতিনিধিত্ব করে গেছে। যেমন 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে', অথবা 'ধনধান্য পুষ্প ভরা'।
রুনা লায়লার সঙ্গে সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ
বাংলার গান যেহেতু সত্যজিৎ রায়কে বাদ দিয়ে ভাবা যায় না, সেহেতু থাকছে 'আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে'। সমগ্র গানমালাটির সূত্র হয়ে থাকবে 'বন্দে মাতরম', পরিশেষে ভারতের ভাষাগত সমৃদ্ধির পরিচায়ক হিসেবে 'মিলে সুর মেরা তুমহারা'। কিন্তু একেবারে শেষে থাকছে উপনিষদের 'শান্তি মন্ত্র', যাকে "অভিনবত্বের ছোঁয়া" বলছেন সৌম্যজিৎ।
দুই শিল্পী মঞ্চে উঠবেন টেস্টের প্রথম দিন চা বিরতির সময়, অর্থাৎ বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। ঘোষিত সূচী অনুযায়ী, মাঠে শিশিরের কথা মাথায় রেখেই খেলা শুরু হবে দুপুর ১টায়। শেষ হবে রাত্রি ৮টায়। বিকাল ৩টের সময় প্রথম বিরতি। এরপর ৩টে ৪০ থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় সেশন। ৫টা ৪০ মিনিটে খেলা বন্ধ হবে ২০ মিনিটের চা পানের বিরতির জন্য়। ফের সন্ধ্য়া ৬টা থেকে খেলা চলবে রাত আটটা পর্যন্ত।
এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে রুনা লায়লা জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরভের জন্য বিশেষ মিষ্টি নিয়ে তিনি শহরে আসছেন। ইডেনে গান করার আমন্ত্রণ পেয়েই ঠিক করে রেখেছিলেন, মমতা এবং সৌরভকে উপহার দেবেন মিষ্টি। বুধবার রাতে ঢাকার বাড়ি থেকে ফোনে জানিয়ে দিলেন, "দেখি কী নেওয়া যায়। ভালো মিষ্টি নিয়ে যেতে হবে।"