ভিডিও: ইংল্য়ান্ডকে হারিয়ে চমকে দিল চেক, আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় ফ্রান্সের
২০২০ ইউরো কোয়ালিফায়ারের ম্য়াচে গত শুক্রবার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বফুটবলের দুই হেভিওয়েট। ইংল্য়ান্ড খেলল চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে। মুখোমুখি হল ফ্রান্স-আইসল্য়ান্ড। দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল ইংল্য়ান্ড। ২-১ গোলে হারতে হল তাদের। অন্যদিকে বিশ্ব চ্য়াম্পিয়ন ফ্রান্স পেল এক গোলের কষ্টার্জিত জয়।
Advertisment
২০০৯ সালের পর থেকে বাছাই পর্বে যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল ইংল্য়ান্ড। বিশ্বকাপ বা ইউরো প্রতিপক্ষকে হেলায় উড়িয়ে দিয়েছে ব্রিটিশরা। ১০ বছর আগে ১০ অক্টোবর শেষবার ইংল্য়ান্ড বাছাই পর্বের ম্য়াচে হেরেছিল। সেবার ইউক্রেনের কাছে হারার পর থেকে চেকের বিরুদ্ধে নামার আগে পর্যন্ত প্রায় অপরাজেয়ই ছিল ইংল্য়ান্ড।
পরিসংখ্য়ান বলছে শেষ ৪৩ ম্য়াচে তাদের কেউ হারাতে পারেনি। ৩৪টি জয় আর ৯টি ড্রয়ের জন্য় গর্ব করল গোলে মেতে থাকা দলটি। এমনকী ইউরোর শেষ চারটি কোয়ালিফাইং ম্য়াচেও হ্য়ারি কেনদের হারানো যায়নি। কিন্তু প্রাগে এসেই ছন্দ কাটল গ্য়ারেথ সাউথগেটের শিষ্য়দের।
এদিন সিনোবো স্টেডিয়ামে ম্য়াচের পাঁচ মিনিটে লুকাস মাসোপুস্ট বক্সের মধ্য়ে ফাউল করেন রহিম স্টারলিংকে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ব্রিটিশ ক্য়াপ্টেন হেরি কেন গোল করে দলকে এগিয়ে দেন পাঁচ মিনিটের মধ্য়েই। যদিও চার মিনিটের মধ্য়েই তাদের হাসি উধাও হয়ে যায়। জ্য়াকব বাব্রেক কর্নার থেকে গোল করে সমতা ফেরান। বিরতিতে ১-১ হয় ম্য়াচের ফল। দ্বিতীয়ার্ধের জেজনেক অনদ্রাসের গোল ইংল্য়ান্ডকে আর ম্য়াচে ফিরতে দিল না। শেষ এক দশকে এই প্রথম কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ইংল্যান্ড হারল।
এদিন জিতলেই ইংল্য়ান্ডে বেলজিয়ামের পর দ্বিতীয় দল হিসাবে ইউরোতে কোয়ালিফাই করে যেতে পারত। যদিও ৫ ম্য়াচে ১২ পয়েন্টের সুবাদে গ্রুপ 'এ'-র শীর্ষেই ইংল্য়ান্ড। পাঁচ ম্য়াচে ১২ পয়েন্ট তাদের। এক ম্য়াচ বেশি খেলে সমসংখ্য়ক পয়েন্টের সৌজন্য়ে চেক আছে দু'নম্বরে। গোল পার্থক্যে পিছিয়ে তারা।
অন্য়দিকে ফ্রান্সকে লড়ে জিততে হল ফ্রান্সকে। ম্য়াচের একমাত্র গোল চেলসির স্ট্রাইকার অলিভার জিরুদের। ম্য়াচের ৬৬ মিনিটে আসে সেই গোল। আঁতোয়া গ্রিজম্য়ানকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। স্পটকিকে ম্য়াচের একমাত্র গোলটি করে ফরাসি স্ট্রাইকার জিরুদ।
শেষ সাত ম্য়াচে ৬টি জয়ের সুবাদে ফ্রান্সের ঝুলিতে এসেছে ১৮ পয়েন্ট। একই ম্য়াচে সমসংখ্য়ক পয়েন্ট তুরস্কেরও। গোল পার্থক্য়ে পিছিয়ে থাকায় ফ্রান্স রয়েছে এইচ গ্রুপে দু'নম্বরে।