ক্লাবের সঙ্গে বিনিয়োগকারী ইমামির সরকারিভাবে গাঁটছড়ায় সিলমোহর পড়েছে চলতি মাসের প্ৰথমেই। তারপরে দ্রুতগতিতে দল গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে। ডুরান্ডে অংশগ্রহণও করেছে ইস্টবেঙ্গল।
যদিও প্ৰথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে লাল-হলুদ শিবির, তবুও আনকোরা দল নিয়ে কনস্টানটাইন ব্রিগেডের লড়াই ভরসা জুগিয়েছে সমর্থকদের। শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধেও রোমহর্ষক জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন ক্লেইটন সিলভারা।
আরও পড়ুন: ইস্ট-মোহনের আইলিগ চ্যাম্পিয়ন বাঙালি এবার গোকুলামে! ডুরান্ডের মাঝেই বিরাট দলবদল
এবার কলকাতা লিগ, তারপরে আইএসএল। ভরা ফুটবল মরসুমের আগে প্ৰথমবার ইমামি-ইস্টবেঙ্গলের বোর্ড মিটিং হয়ে গেল। যেখানে উপস্থিত থাকলেন ইমামির সাত জন বোর্ড ডিরেক্টর- আদিত্য ভি আগরওয়াল, মনীশ গোয়েঙ্কা, সন্দীপ আগরওয়াল, গৌতম জাটিয়া, এস.এন.পাল, সৌরভ দাশগুপ্ত এবং মনোজ আগরওয়াল। ডিরেক্টর বোর্ডে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ৩ জন সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবব্রত সরকার, রূপক সাহা এবং সদানন্দ মুখোপাধ্যায়। স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে ছিলেন প্রণব দাশগুপ্তও।
ইমামি এবং ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা বোর্ড মিটিংয়ে (ছবি: ইস্টবেঙ্গল মিডিয়া)
প্ৰথম মিটিংয়েই একের পর এক দুর্ধর্ষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। মহিলাদের ফুটবল দল নিয়ে যেমন আলোচনা হল। তেমন ঠিক হয়ে গেল আইএসএল-এ প্রতি এওয়ে ম্যাচে দলের সঙ্গে যাবেন ক্লাব এবং ইনভেস্টর ইমামির প্রতিনিধিরা। বাইরে গিয়ে দল তো বটেই কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করা, উদ্বুদ্ধ করার কাজ চালিয়ে যাবেন লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তারা।
সবমিলিয়ে, সাফল্যের রোডম্যাপ অনেকটাই ছকে ফেলা হল প্ৰথম বোর্ড মিটিংয়ে।