কলকাতা লিগে নামতে হবে। এমনিতে দলগঠন সবার শেষে সম্পন্ন করেছে ইস্টবেঙ্গল। মাত্র কয়েকদিনের অনুশীলনে ভর করে নেমে পড়তে হয়েছিল ডুরান্ড কাপে। প্ৰথম রাউন্ডেই বিদায় নিলেও মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের খেলা মন মাতিয়ে দিয়েছে সমর্থকদের। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৪-৩ গোলে ইস্টবেঙ্গলের কাছে পরাস্ত হয়েছে আইএসএল-এর হেভিওয়েট জায়ান্টরা।
ডুরান্ডে পাঁচ বিদেশি নিয়ে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিরিয়াকু, আলেক্স লিমা, এলিয়ান্দ্র, ক্লেইটন সিলভা এবং ইভান গঞ্জালেজ ছিলেন। ষষ্ঠ বিদেশি হিসাবে শেষ মুহূর্তে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন অজি মিডফিল্ডার জর্ডন ও দোহার্তি।
আরও পড়ুন: DTDC-র সঙ্গে জুড়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের নাম! কৃতী বঙ্গসন্তান বড় দায়িত্ব নিয়ে লাল-হলুদে
ঘটনা হল, পাঁচ বিদেশি ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে আগেই যোগ দিলেও ভিসা জটিলতায় ক্রমশই পিছিয়ে যাচ্ছিল জর্ডনের ভারতে আসার বিষয়টি। সময় যত এগোচ্ছিল, ততই চাপ বাড়ছিল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের ওপর। সামনেই কলকাতা লিগ এবং আইএসএল-এর জন্য চূড়ান্ত দল কম্বিনেশন বাছাই করার চাপ ছিল তার ওপর।
শেষমেশ এমন অবস্থায় ইস্টবেঙ্গলের ত্রাতা হিসাবে আবির্ভাব সিডনির ভারতীয় দূতাবাসের কনসাল জেনারেল মনীশ গুপ্তা। তিনি দায়িত্ব নিয়ে জর্ডনের ভিসা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেন।
ইস্টবেঙ্গল মিডিয়ার তরফে মনীশ গুপ্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখা হয়, "কনসাল জেনারেল মনীশ গুপ্তা এবং তাঁর টিমের (সিডনির ভারতীয় দূতাবাস) প্রতি ইমামি ইস্টবেঙ্গল বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। জর্ডন ও দোহার্তি যে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পেরেছে, তার জন্য অনেকটাই সিডনির ভারতীয় দূতাবাসের উদারতা। ইন্দো-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য এটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। ক্লাব এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।"
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে দেবলীনা চক্রবর্তী সিডনিতে ইস্টবেঙ্গলের লাল-হলুদ পতাকা উপহার দেন মনীশ গুপ্তাকে।
এদিকে, রবিবার সকাল ৯.০০ টা থেকে নিউটাউন, ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সসিলেন্স মাঠে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলবে জর্জ টেলিগ্রাফের সঙ্গে। ম্যাচ টি ক্লোজড ডোর প্র্যাক্টিস ম্যাচ হবে। সেইজন্য কোনও সদস্য, সমর্থককে মাঠে বা গ্যালারিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।