Will Jacks, Phil Salt, Jos Buttler, Pakistan Series and IPL: আইপিএল প্লে অফে খেলার আগেই জাতীয় দলের হয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার জন্য ইংল্যান্ডে রওনা দিয়েছিলেন একাধিক ইংরেজ তারকা- উইল জ্যাকস, ফিল সল্ট, জস বাটলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যারিবীয় মুলুকে টি২০ বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান চার ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলছে প্রস্তুতি হিসেবে।
তবে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা মাইকেল ভন বলে দিলেন, পাকিস্তান সিরিজ খেলার বদলে প্লে অফে কোয়ালিফাই করা দলের ইংরেজ ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলা উচিত ছিল।
ক্লাব প্রেইরি পডকাস্টে তিনি বলে দিয়েছেন, "সমস্ত প্লেয়ার দেশে ফিরে আসায় আমরা একটা সুযোগ হারালাম। উইল জ্যাকস, ফিল সল্টরা আইপিএলের প্লে অফে বিশেষ করে এলিমিনেটরে যদি খেলত! বিশেষ করে এই টুর্নামেন্টের এলিমিনেটরে দর্শক, জনসমর্থন, এত প্রত্যাশা ক্রিকেটারদের সামলাতে হয়। আমি তো বলব, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি২০ ম্যাচ খেলার থেকে এমন টুর্নামেন্টে খেলা সবসময় ভালো।"
আরও পড়ুন: ৫ দিন পরেই ধুন্ধুমার বাংলাদেশ ম্যাচ! দলের একনম্বর তারকাকেই পাচ্ছে না টিম ইন্ডিয়া
"আমি সবসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পক্ষে। তবে এমন ধরণের টুর্নামেন্ট বিশেষ করে ক্রিকেটাররা প্রচুর চাপে থাকে। সমর্থক, মালিক, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল চাপ থাকে ওঁদের ওপর। তবে ওরা দুজনের তো বটেই আর বাটলারের ক্ষেত্রে যদিও অতটা নয় (চাপ সামলানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করা)। আমার মতামত ওঁরা ওখানে থেকে যেতে পারত। উইল জ্যাকস এবং বাটলার যদি ওখানে খেলত, তাহলে বিশ্বকাপের জন্য আরও ভালভাবে তৈরি থাকতে পারত।
এদিকে, টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের আগে নিজেদের প্রস্তুতি ভালভাবেই সেরে রাখল ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের প্ৰথম ম্যাচ বৃষ্টিতে বানচাল হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংরেজদের সামনে শোচনীয় দশা হল পাকিস্তানের। এজবাস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে ইংল্যান্ড জয়লাভ করল ২৩ রানের ব্যবধানে।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের হয়ে মারকাটারি ব্যাটিং করে যান জস বাটলার (৫১ বলে ৮৪)।
বাটলারকে ইনিংস গড়ার কাজে যোগ্য সহায়তা করেন জনি বেয়ারস্টো এবং উইল জ্যাকস। তবে শেষদিকে আচমকা ব্যাটিং বিপর্যয়ে ইংল্যান্ডের ২০০ প্লাস স্কোর করা হয়নি। ১৪৪-২ থেকে ইংল্যান্ড মাত্র ৫ ওভারের মধ্যে ১৮৩/৭ হয়ে যায়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই মহম্মদ রিজওয়ান এবং সাইম আয়ুবকে হারায় পাকিস্তান। তারপর তৃতীয় উইকেটে পাকিস্তানকে উদ্ধার করে বাবর আজম এবং ফখর জামান জুটি। দুজনে ৫৩ রান যোগ করে যান। ৩২ রানে বাবরকে লেগ বিফোর করে ইংল্যান্ডকে ব্রেকথ্রু এনে দেন মঈন আলি। ফখর জামান প্রতি আক্রমণে পাকিস্তানের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তবে চড়চড় করে বাড়তে থাকা আস্কিং রেট এবং অন্য প্রান্তের উইকেট পতনের মুখে ফখর শেষমেষ উইকেট দিয়ে বসেন ২১ বলে ৪৫ করে।