England vs Sri Lanka, unfair ball change: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হোম টেস্ট সিরিজ খেলতে নেমে প্ৰথম ম্যাচে কোনওরকমে রক্ষা পেল ইংল্যান্ড। ৫ উইকেটে ইংল্যান্ড জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে। ইংলিশ উইকেটকিপার জেমি স্মিথ নজরকাড়া পারফর্ম করেছেন ব্যাট হাতে।
তবে প্ৰথম টেস্ট শেষ হতেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জালিয়াতির ভয়াবহ অভিযোগ আনলেন শ্রীলঙ্কান তারকা এঞ্জেলো ম্যাথিউস। তৃতীয় দিনে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ রান স্কোরার ছিলেন ম্যাথিউস। তবে লঙ্কানদের ইনিংসের মাঝপথে বল পরিবর্তন করে ইংল্যান্ড। এই নিয়ম নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন লঙ্কান তারকা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাথিউসের ৬৫ রানে ভর করে শ্রীলঙ্কা স্কোরবোর্ডে ৩২৬ তুলেছিল। তিনি ম্যাচ শেষ হতে না হতেই বলে দিলেন, ম্যাচে আচমকা নতুন বল অন্তর্ভুক্তি তাঁর খেলায় প্রভাব ফেলেছে। শ্রীলঙ্কার বাড়তি রান চেজ করতে সমস্যা হয়নি ইংরেজদের। হাতে ৫ উইকেট নিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২০৫ রান তুলে দেয় ইংল্যান্ড।
শ্রীলঙ্কা শিবিরের পক্ষ থেকে যে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তা হল, শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ কর্তৃত্ব নিয়েই ব্যাট করছিল। ১৭৫ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে ফেলেছিল দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রিকেটাররা। লিড ছিল ৫৩ রানে। হাতে ছিল তখনও ছয় উইকেট। লিড ইংল্যান্ডের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়ার সুযোগ ছিল শ্রীলঙ্কার কাছে। ক্রিজে টিকে গিয়েছিলেন এঞ্জেলো ম্যাথিউস (৫৯) এবং কামিন্দু মেন্ডিস (৩৩)।
সেই সময়েই হঠাৎ করেই অনফিল্ড দুই আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি এবং পল রাইফেলের কাছে ইংল্যান্ড শিবির বল পরিবর্তন করার আবেদন জানান। সেই আবেদন মেনে নেন দুই আম্পায়ার।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট ওভার পেরিয়ে যাওয়ার আগেই কোনও বল খেলার অনুপযুক্ত হলে তবেই বল পরিবর্তন করতে হয়। তবে সেক্ষেত্রে লাইক-আ-লাইক রিপ্লেসমেন্ট বল নিয়ে আসতে হয়। শ্রীলঙ্কা শিবিরের অভিযোগ যে নতুন যে বল ইংল্যান্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল তা মোটেও আগের মত পুরোনো ছিল না। অপেক্ষাকৃত নতুন বল পেয়ে ইংল্যান্ডের স্ট্যান্ড ইন অধিনায়ক ওলি পোপ সিমারদের আক্রমণে নিয়ে আসেন। তাতেই ধসে যায় শ্রীলঙ্কান ইনিংস।
এঞ্জেলো ম্যাথিউস স্কাই স্পোর্টস-এ বলেছেন, "মনে হচ্ছিল ওঁদের কাছে নতুন কোনও প্ল্যান ছিল না। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বল পরিবর্তন করে দেওয়া হল। আমাদের বলা হল, খুব বেশি পুরোনো বল ওঁদের কাছে নেই। এটা খেলার মোমেন্টামটাই বদলে দিল। বলের শাইন তোলার জন্য আমরা এত প্রচেষ্টা করলাম। ৪৮ ওভার টিকে খেলছিলাম। আমাদের বল ফেস করতে কোনও সমস্যাই হচ্ছিল না। তারপর বল বদলে দেওয়ার পর খেলার গতিই বদলে গেল। বল সুইং করতে শুরু করল। এবং দুর্ভাগ্যের শিকার হলাম আমরা।"
ক্রিস ওকস পরিবর্তিত বল নিয়ে প্রথমেই আউট করেন এঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। তারপর শ্রীলঙ্কান বাকি ব্যাটিং একদম ভেঙেচুরে পড়ে।