ইংল্যান্ড: ১৭১/৯ এবং ভারত: ১৪৫/৯
IND vs ENG 3rd t20I match report: সিরিজের ফয়সালা করতে নেমেছিল ভারত। তবে রাজকোটে হেরে সিরিজ জমিয়েই দিল ভারত। ইংল্যান্ডের ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে ভারত ১৪৫/৯-এ মুখ থুবড়ে পড়ল। কার্যত তৃতীয় সারির দল নামিয়েছিল ভারত রাজকোটে। ফর্মে থাকা অর্শদীপকে সরিয়ে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুবিধা করার জন্য নামানো হয় মহম্মদ শামিকে। বাকি দল অপরিবর্তিতই ছিল।
সেই ম্যাচেই ভারত হারল ২৬ রানে। অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসনের বল্লা সেভাবে চলেনি পাওয়ার প্লেতে। সূর্যকুমার যাদব টানা ব্যর্থতার ধারা বজায় রেখে আবার-ও নিরঞ্জন শাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিরলেন ১৪ করে। মাঝের ওভারে আগের ম্যাচের হিরো তিলক ভার্মা আদিল রশিদের দুরন্ত ঘূর্ণিতে ধরা পড়ে যেতেই ভারত আটকে গেল।
ওয়াশিংটন সুন্দর ফেরার পর ৮৫/৫ হয়ে যাওয়া ভারতকে ম্যাচে ফেরাতে আল্ট্রা ডিফেন্সিভ ব্যাটিং করে গেলেন হার্দিক পান্ডিয়া-অক্ষর প্যাটেল। দুজনে রান তোলার গতি বাড়াতে ব্যর্থ হওয়ার পর ডেথ ওভারে চালিয়ে খেলতে গিয়ে একের পর এক উইকেট পতন এবং হার।
হার্দিক পান্ডিয়া ৩৫ বলে করলেন মাত্র ৪০। অক্ষর প্যাটেল করলেন ১৬ বলে ১৫। দুজনে ৩৮ রান যোগ করতে নিয়ে নেন ৩১ বল। আদিল রশিদ এদিনও অপ্রতিরোধ্য। ৪ ওভারে এদিন খরচ করলেন মাত্র ১৫ রান। নিলেন তিলক ভার্মার দুরন্ত উইকেট। ওভারটন ৩ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দুটো করে শিকার করেন ব্রাইডন কার্স এবং জোফ্রা আর্চার।
তার আগে বরুণ চক্রবর্তীর পাঁচ উইকেট ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল প্রথমার্ধে। ফিল সল্ট আউট হয়ে যাওয়ার পর বেন ডাকেট এবং ক্যাপ্টেন জস বাটলার ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন পাওয়ার প্লেতে। জস বাটলার আউট হওয়ার পরেও ইংল্যান্ড ৮৬/২ ছিল।
সেখান থেকে আচমকা ব্যাটিং বিপর্যয়ে ইংল্যান্ড ৪৪ রান যোগ করার ফাঁকে ৭ উইকেট খুঁইয়ে ফেলেছিল। তবে শেষদিকে আদিল রশিদ এবং মার্ক উড দলকে ১৭০ প্লাস স্কোরে পৌঁছে দেন। দুই পেসারের দশম উইকেটের পার্টনারশিপই ম্যাচে নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াল।