ফুটবল বহুদিনই চালু হয়ে গিয়েছে। এবার বাইশ গজের দুনিয়াতেও ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে। বুধবারই শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ। একদম আলাদা পরিস্থিতিতে।
করোনার প্রাদুর্ভাব এখনও কমেনি। তার মধ্যেই আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করে এই সিরিজ খেলতে রাজি হয়েছে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডই। সাউদাম্পটনের এজেস বোল স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট আজ। এরপর চলতি মাসের শেষের দিকে ম্যাঞ্চেস্টারে বসবে দ্বিতীয় টেস্টের আসর। সিরিজের সবকটি ম্যাচই খেলা হবে বায়ো নিরাপদ পরিবেশে। ইতিমধ্যেই দুই দেশের কাছে ইসিবির পক্ষ থেকে করণীয় এবং অকরনীও বিষয়সমূহের ৭৮ পাতার লম্বা নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কি রয়েছে সেই নির্দেশিকায়? জানানো হয়েছে, দুই দলের দুই অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং জেসন হোল্ডার ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডকে নিয়ে টস করতে আসবেন। টসের সময় কোনো ক্যামেরা মাঠে প্রবেশ করবে না। প্রচলিত হ্যান্ডশেকও করা যাবে না।
আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ এবং রিচার্ড কেটেলবরো নিজেদের বল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করবেন। নির্দিষ্ট ব্রেক অন্তর তাঁরা স্ট্যাম্প স্যানিটাইজ করবেন। প্লেয়াররা কোনোভাবেই গ্লাভস, শার্টস, জলের বোতল, ব্যাগ, সোয়েটার শেয়ার করতে পারবেন না। মাঠে কোনো বল বয় থাকবে না। মাঠকর্মীদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের ২০ মিটার দূরত্ব বজায় থাকবে। স্কোয়ার মিটার অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ববিধি পালন করতে হবে।
জানানো হয়েছে,এতদিন প্রচলিত প্লেয়ারদের তালিকা প্রিন্ট করে নয়, ডিজিটালি প্রকাশ করা হবে। চিপ সম্পন্ন কোভিড ট্র্যাকার কার্ডের মাধ্যমে সকলের গতিবিধি নজরে রাখা হবে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আগেই জানিয়ে দিয়েছে, কোনোভাবেই বলে লালা লাগানো যাবে না। এরকম করলে পাঁচ রানের পেনাল্টি দেওয়া হবে ব্যাটিং দলকে।
খেলা চলাকালীন কোভিডে আক্রান্ত হলে তাঁর পরিবর্ত ক্রিকেটার নেওয়া যাবে। তবে এমন কাণ্ড ঘটলেও ম্যাচ চালিয়ে যাওয়া হবে। ব্রিটেনের বিখ্যাত দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, এজেস বোল স্টেডিয়ামে ইনার ও আউটার- দুটো আলাদা জোন থাকবে। মাঠে থাকবে বিশেষ আইসোলেশন জোন। সব মিলিয়ে নতুন আঙ্গিকের ক্রিকেটের ঢাকে কাঠি পড়ছে আজ থেকেই। ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুর সাড়ে তিনটায় হচ্ছে মহারণ। গোটা ক্রিকেট বিশ্বের নজরে থাকবে এই টেস্ট। কারণ ক্রিকেটের বেঁচে থাকাই যে নির্ভর করছে ইংরেজ আর ক্যারিবিয়ানদের হাতে।