Advertisment

করোনার জন্যই কি হৃদরোগ এরিকসেনের! প্রবল জল্পনা ছড়ালেন তারকার ভারতীয় চিকিৎসক সঞ্জয়

এরিকসেনের হৃদরোগের জন্য কার্যত করোনাকে দায়ী করলেন চিকিৎসক। ২০১৯ পর্যন্ত শারীরিক কোনো সমস্যা না থাকলেও কীভাবে হৃদরোগের শিকার হলেন এরিকসেন?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এরিকসেনের কী করোনা হয়েছিল! এমন প্রশ্নেই আপাতত উত্তাল ফুটবল বিশ্ব। আর এই জল্পনার যোগান দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় শর্মা। যিনি এরিকসেনের টটেনহ্যামের চিকিৎসক ছিলেন। তিনি সম্প্রতি ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, ২০১৯ পর্যন্ত শারীরিকভাবে একদম ঠিক ছিলেন তিনি। একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় কোনোরকম অসঙ্গতি ধরা পড়েনি। এরপরেই তাঁর ইঙ্গিত, করোনা সংক্রমিত হওয়ার পরে হৃদপিন্ডের পেশীতে ক্ষতি হতে পারে।

Advertisment

তবে টটেনহ্যামের ভারতীয় চিকিৎসকের এই দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন ইন্টার মিলানের ডিরেক্টর জিউসেপ্পি মারোত্তা। ডেনমার্ক বনাম ফিনল্যান্ড ম্যাচে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়ার পড়া ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন কোনোভাবেই করোনা সংক্রমিত হননি, তা জোর গলায় স্বীকার করে নিলেন তিনি।

আরো পড়ুন: ডগলাস না থাকলে বাঁচতাম না! এরিকসেনকে দেখে পুরোনো ক্ষত ফের দগদগে মৃত্যুঞ্জয়ী দেবজিতের

জিউসেপ্পি মারোত্তা পাল্টা রাই স্পোর্টসকে জানাচ্ছেন, "ও করোনা সংক্রমিত হয়নি। সেই কারণেই ওঁকে টিকাও দেওয়া হয়নি। ইন্টারের মেডিক্যাল স্টাফ ডেনমার্কের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলছেন।" ড্যানিশ মেডিক্যাল টিমের তত্ত্ববধানে থাকা এরিকসেনের চিকিৎসার বিষয় প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রকাশ করারও দাবি তুলেছেন।

সঞ্জয় শর্মা অবশ্য হৃদরোগের জন্য সাফ জানাচ্ছেন, "২০১৩ সাল থেকে ওঁর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় কোনো রকম বিচ্যুতি ধরা পড়েনি। ঈশ্বরই জানেন, আড়ালে কি এমন কিছু রয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে! আমি কিন্তু ওঁর সমস্ত মেডিক্যাল টেস্ট খতিয়ে দেখেছি। সবকিছুই একদম ঠিকঠাক। যেদিন থেকে আমরা ওঁকে সই করিয়েছিলাম, সেদিন থেকেই ওঁর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা আমাদের দায়িত্ব ছিল। প্রত্যেক বছরে একাধিক টেস্ট করা হত। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তো ওঁর সমস্ত কিছুই স্বাভাবিক ছিল। কোনো লুকোনো হৃদরোগের চিহ্নও ছিল না। আমি এই পরীক্ষা নীরিক্ষার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারি, কারণ সেগুলো আমিই করেছিলাম।"

এদিকে, এরিকসেনের মাটিতে লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য দুঃস্বপ্নের স্মৃতি মনে পড়িয়ে দিয়েছে বোল্টন ওয়ান্ডার্সের প্রাক্তন মিডফিল্ডার ফ্যাব্রিস মুয়ামবাকে। ২০১২ সালের এফএ কাপের ম্যাচে এভাবেই সংজ্ঞা হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই কারণে মাত্র ২৪ বছর বয়সেই ফুটবলকে বিদায় জানাতে হয় তাঁকে।

"ওই দৃশ্য দেখে মারাত্মক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে মেডিক্যাল স্টাফদেরও।প্রশংসা করতে হয়। দ্রুত ওঁরা এরিকসেনের চিকিৎসা চালু করেছে। যেভাবে ওঁর সতীর্থরা ওঁকে রক্ষা করল, সেটা দেখার মত। আশা করি ও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে। ও ফিরে আসবে। আমি নিশ্চিত।" বিবিসিকে বলে দিয়েছেন তিনি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Euro Cup COVID-19 Denmark
Advertisment