ডেনমার্ক: ১ (পলসেন)
বেলজিয়াম: ২ (হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইন)
শুরুটা স্বপ্নের হয়েছিল। তবে ডেনমার্ক সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারল না বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে। টানা দুটো ম্যাচ জিতে বেলজিয়াম বৃহস্পতিবারই নক আউট পর্বে ওঠা নিশ্চিত করে ফেলল। রেড ডেভিলসের কাছে ড্যানিশরা হারল ১-২ গোলে। আর বেলজিয়ামের জয়ে নায়ক কেভিন ডি ব্রুইন।
কেন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার, দেখিয়ে দিলেন দলের দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেই। হ্যাজার্ড, লুকাকুদের পা ঘুরে বল তাঁর কাছে আসার পরে টপ কর্নার থেকে দুরন্ত ফিনিশ করলেন। ড্যানিশ গোলকিপার স্কিমিচেলের কাছে কার্যত কোনো সুযোগই থাকল না তা সেভ করার।
এদিন বেলজিয়াম বনাম ডেনমার্ক ম্যাচের অনেকতা জুড়ে থাকলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। তাঁর প্ল্যাকার্ড নিয়েই ড্যানিশ সমর্থকরা কোপেনহেগেনের স্টেডিয়াম ভরিয়ে তুলেছিলেন। ম্যাচের আগে এরিকসেনের জন্য দু-দলের ফুটবলাররা মিনিট খানেক বরাদ্দও রেখেছিল।
এরিকসেনের সেই বীভৎস ঘটনার পাঁচদিন পরে এদিন খেলতে নামল ডেনমার্ক। আর অন্যতম সেরা বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটি। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করে ডেনমার্ককে এগিয়ে দেন পলসেন। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটাই দ্বিতীয় দ্রুততম গোল।
এরপর বিরতি পর্যন্ত একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে ডেনমার্ক। তারকা খচিত বেলজিয়াম ম্যাচে সময়ে সময়ে হারিয়ে যাচ্ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্টিনেজ ইডেন হ্যাজার্ড এবং ডে ব্রুইনকে নামান। তারপরেই খেলা শুরু করে বেলজিয়াম।
৫৫ মিনিটে বেলজিয়ামের হয়ে সমতা ফেরান থরগান হ্যাজার্ড। লুকাকু, ডি ব্রুইন হয়ে হ্যাজার্ডের কাছে পৌঁছনোর পরে দারুন ফিনিশ করেন হ্যাজার্ড।
এরপরে খেলা ধরে নেয় বেলজিয়াম। বিক্ষিপ্তভাবে আক্রমণ শানালেও বেলজিয়ান ডিফেন্স, অথবা গোলকিপার কুর্তোয়ার কাছে আটকে যেতে হয় তাঁকে। ৭০ মিনিটে ম্যাচের জয়সূচক গোল করে যান ডি ব্রুইন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন