ইংল্যান্ড: ১ (২) (লুক শ)
ইতালি: ১ (৩) (বোনুচ্চি)
ইউরোর ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই থিম সং যেন কার্যত সেট করে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড শিবির, 'ইটস কামিংগ হোম'। তবে ফাইনালের পরে 'হোম' নয় ট্রফি যাচ্ছে রোমে। টানটান লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৫৫ বছর পর ইউরো চ্যাম্পিয়ন মানচিনির ইতালি। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ থাকার পর অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে টাইব্রেকার শ্যুট আউটে ফয়সালা হল চ্যাম্পিয়ন দলের। যেখানে শেষ হাসি ইতালিয়ানদের। শ্যুট আউটে তিনটে পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক ইতালি গোলকিপার দোনরুম্মা।
তিন বছর আগে বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি আজ্জুরিরা। সেখান থেকে রূপকথা গড়ে ইউরোপ সেরা। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের জন্যও প্রস্তুত ছিল রূপকথা।।ইংল্যান্ড যেবারে শেষবার ইউরোর ফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করেছিল। সেবার গ্যারেথ সাউথগেট নিজে পেনাল্টি মিস করে বসেন। রবিবারের ওয়েম্বলি তাঁকে ফের একবার দুঃস্বপ্নের সেই কালো রাত উপহার দিয়ে গেল। শাপমোচন হওয়ার বদলে ওয়েম্বলিতে যেন পুরোনো ক্ষত আরো দগদগে হয়ে ধরা দিল সাউথগেটের কাছে।
১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে ইউরোর ইতিহাসে দ্রুততম গোল করে ঘরের মাঠের সিংহগর্জন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন লিউক শ। তারপর বিরতিতে ১-০ গোলের লিড নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরান লিওনার্দো বোনুচ্চি। এরপর নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময় পেরিয়েও খেলার মীমাংসা হয়নি।
টাইব্রেকারে শ্যুট আউটে ইতালির হয়ে গোল করে যান ডমিনিকো বেকার্ডি, লিওনার্দো বোনুচ্চি এবং ফ্রেডরিকো বার্নারদেশি। ইংল্যান্ডের হয়ে হ্যারি কেন এবং হ্যারি ম্যাগুয়ের শুরুতে ইংল্যান্ডের হয়ে জোড়া গোল করে যান। তবে মিস করে বসেন মার্কাস রাশফোর্ড, বুকায় সাকা এবং জ্যাডন স্যানচো। ইতালির হয়ে মিস করেন আন্দ্রে বেলোত্তি এবং জর্জিনহো।
২৪ ঘন্টা আগেই মারাকানা ব্রাজিলের শোকগাথা লিখেছিল। কি আশ্চর্য ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিও যে ইংরেজদের শোকের বাসরে পর্যাবসিত হবে কে ভাবতে পেরেছিল। দিনের শেষে এভাবেই মিলে গেল কোপা আর ইউরোর ফুটবল মঞ্চ!
আরো আসছে...
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন