ইংল্যান্ড: (জায়ের-আত্মঘাতী, হ্যারি কেন)
ডেনমার্ক: ১ (ড্যামসগার্ড)
নকআউট পর্বের বাধা টপকে এবার ট্রফি জেতার আরো কাছাকাছি পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। অতিরিক্ত সময়ে ডেনমার্ককে ২-১ এ পরাস্ত করে ইউরোর ফাইনালে পৌঁছে গেল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। পেনাল্টি থেকে প্ৰথমবার গোল মিস করার পরে ইংল্যান্ডের হয়ে এদিন তেকাঠিতে বল রাখেন দলের একনম্বর তারকা হ্যারি কেনই।
ঘরের মাঠে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে ইংল্যান্ড এদিন পিছিয়ে পড়েছিল ড্যামসগার্ডের দুর্ধর্ষ ফ্রি-কিক থেকে করা গোলে। তারপরেই ইংল্যান্ড সমতা ফেরায় ডেনমার্ক অধিনায়ক সাইমন জায়েরের আত্মঘাতী গোলে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট রইল ইংরেজদেরই। ১০৪ মিনিটে ইংল্যান্ডের জয়সূচক গোল আসে ক্যাপ্টেন হ্যারি কেনের পা থেকে।
আরো পড়ুন: দুর্ধর্ষ ইতালি ইউরোর ফাইনালে! টাইব্রেকারে হেরে ছিটকে গেল স্পেন
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পরেই ডেনমার্ক দুর্ধর্ষ ফুটবল উপহার দিয়ে এসেছে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই। ১৯৯২-এ ইউরো জয়ের পরে এই প্রথমবার ইউরোর সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল ডেনমার্ক।
আগের ম্যাচে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পরে ইংল্যান্ড যে ডেনমার্কের উজ্জীবিত ফুটবলের মুখে পড়বে, তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। সেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করেই ম্যাচের শুরু থেকেই ডেনমার্কের দুরন্ত ফুটবলের সামনে পড়ে ইংল্যান্ড। ৩০ মিনিটের মাথায় ২৫ গজ দূর থেকে ড্যামসগার্ডের ফ্রি কিক থেকে গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরে সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল ইংল্যান্ড।
কোনো গোল হজম না করে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল ইংল্যান্ড। শেষ চারে টুর্নামেন্টে প্রথমবার গোল হজম করে ইংল্যান্ড সমতা সূচক গোলের জন্য মরিয়া ওঠে যথারীতি। রাহিম স্টার্লিংয়ের শট পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে সেভ করেন ক্যাস্পার স্কিমিচেল। তারপরই ৩৯ মিনিটে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। বুকায় সাকার লো ক্রশ ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন ড্যানিশ অধিনায়ক সাইমন জায়ের।
এরপর বাকি ম্যাচ কার্যত হয়ে দাঁড়ায় ড্যানিশ গোলকিপার ক্যাসপার স্কিমিচেল বনাম বাকি ইংল্যান্ড আক্রমণের। হ্যারি ম্যাগুয়েরের হেডে নিশ্চিত গোল বাঁচান তিনি। বিরতির পর একের পর এক আক্রমণ শানালেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি ইংল্যান্ড।
নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ১-১ থাকার পরে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এরপরে হ্যারি কেন এবং জ্যাক গ্রিলিশের শট বাঁচিয়ে ম্যাচ প্রায় টাইব্রেকারে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্কিমিচেল।
১০৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে রাহিম স্টার্লিংকে ফাউল করে বসেন জোয়াকিম মাহেলে। ভার প্রযুক্তিতে পরীক্ষা করে পেনাল্টি দেওয়া হলে হ্যারি কেনের দুর্বল শট বাঁচিয়েও দিয়েছিলেন কিপার স্কিমিচেল। তবে পাল্টা রিবাউন্ড থেকে গোল করে যান তিনি।
৯৬-এ পেনাল্টি শ্যুট আউটে ইংল্যান্ডের বর্তমান কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের মিস এখনো ক্ষত হয়ে রয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ডের শিবিরে। সেই ট্র্যাজেডিকে পেরিয়েই ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবার। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের পর ফের একবার কি ফুটবল ঘরে ফিরছে, তা নিশ্চিত হয়ে যাবে কয়েকদিনের মধ্যেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন