কুম্ভমেলা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের তাবর তাবর প্রচারমাধ্যম নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করেছিল। বলা হয়েছিল ভারতে করোনা সংক্রমণে নাকি সুপারস্প্রেডারের ভূমিকা নিয়েছিল কুম্ভমেলা। যদিও কেন্দ্রের তরফে পরিসংখ্যান হাজির করে হিসাব দেওয়া হয়, খুব কম সংখ্যক কুম্ভমেলায় থাকা ব্যক্তিই করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন।
ভারতীয় ঘটনা নিয়ে ঢক্কানিনাদ প্রচার জারি করলেও নিজেদের বিষয় নিয়ে অবশ্য একদমই চুপ। যা ঘটল ইউরোর ফাইনালের আগে। হাজারে হাজারে ইংরেজ সমর্থক কার্যত তান্ডব চালালেন লন্ডনের রাস্তায়। ঠিক ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ড বনাম ইতালি ম্যাচের ঠিক আগে। যদিও এই ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গুলি।
আরো পড়ুন: ওয়েম্বলিতে স্বপ্নভঙ্গ ইংল্যান্ডের! মানচিনির হাত ধরে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ইতালি, দেখুন ভিডিও
সেমিফাইনালে ডেনমার্কের।বিরুদ্ধে নক্কারজনক কান্ড ঘটিয়েছিল ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। ড্যানিশ গোলকিপার ক্যাসপার স্কিমিচেলের মুখে লেজার বিম ফেলে মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটাতে চেষ্টা করে তাঁরা।।ডেনমার্কের জাতীয় সঙ্গীতকেও ব্যঙ্গ করা হয়। গ্যালারিতে আতশবাজি জ্বালানো হয়।
তারপরেই উয়েফার পক্ষ থেকে জরিমানা করা হয় ইংল্যান্ডকে। এরপর সাউথগেট দলের সমর্থকদের সংযত হওয়ার বার্তা দিয়ে বিপক্ষ দলের জাতীয় সঙ্গীতকে ব্যঙ্গ করতে বারণ করেন।
তবে তাঁর কথা শোনার প্রয়োজন বোধ করেননি ইংরেজরা। ফাইনালেও ইতালির জাতীয় সঙ্গীতকে ঘিরে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়ে গেল ইংরেজরা।
মাঠের বাইরে কেলেঙ্কারি ঘটালেন ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। টিকিট না থাকা ইংল্যান্ডের সমর্থকরা কাতারে কাতারে ওয়েম্বলির বাইরে জড়ো হয়ে জোরপূর্বক স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করে। বাধাপ্রাপ্ত হয়ে শয়ে শয়ে বিয়ারের বোতল ছুড়তে থাকে সমর্থকরা। কয়েকশো মদ্যপ সমর্থক স্টেডিয়ামের বাইরে বাসে উঠে তান্ডব চালায়। ইতালির বিরুদ্ধে গালাগাল উজাড় করে দেয় তাঁরা।
আগেই স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল টিকিট বিহীন দর্শকরা যেন ওয়েম্বলি থেকে দূরে ফ্যান জোনে ম্যাচ উপভোগ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষমেশ লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ মাঠে নামে। স্টেডিয়ামে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বিশৃঙ্খল জনতাকে বাগে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয়।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আসার জন্য যে টিউব স্টেশন রয়েছে সেখানে তো বটেই লেস্টার স্কোয়ারে বানানো হয়েছিল ফ্যানজোন। যাতে ইংল্যান্ডের সমর্থকরা দেশের খেলা উপভোগ করতে পারেন। তবে সেই ফ্যান জোনে সমর্থকদের তান্ডব চলার পর যা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এদিন এতটাই তান্ডব ছিল উগ্র সমর্থকদের যে ইতালি দলের নিরাপত্তা নিয়েও একসময় সংশয় দেখা যায়। ভবিষ্যতে উয়েফা নিশ্চয় এই বিষয়টি মাথায় রাখবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন