আগের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৪-০ উড়িয়ে দিয়েছিল ফ্রান্স। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য সেই দাপট দেখা গেল না ফ্রান্সের খেলায়। বেঞ্জামিন প্যাভা-র করা একমাত্র গোলে ফ্রান্স হারাল আয়ারল্যান্ডকে। ২০১৮-য় রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের অন্যতম নায়ক হিসেবে উঠে এসেছিলেন বেঞ্জামিন প্যাভা। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে তাঁর গোল এখনও চোখে ভাসে অনেকের। তবে বিশ্বকাপের পরে জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কাতার বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে খারাপ খেলার পর আর জায়গা হয়নি তাঁর।
Advertisment
তিনি জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করলেন স্মরণীয় ম্যাচ উপহার দিয়ে। জুলস কৌন্ডের জায়গায় রাইট ব্যাকে খেলতে নেমেই নিজের জাত চেনালেন।
ম্যাচের প্ৰথম থেকেই ফ্রান্স আক্রমনাত্মকভাবে শুরু করেছিল। তবে আয়ারল্যান্ড ফ্রান্সের গতিসম্পন্ন খেলার বিষয়ে সজাগ ছিল। রক্ষণ আঁটোসাঁটো রেখে প্রতি আক্রমণভিত্তিক খেলার দিকে জোর দিয়েছিল আইরিশরা। প্রথমার্ধে সেরকমভাবে সুযোগ পায়নি ফরাসিরা।
বিরতির পর পাঁচ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করে যান প্যাভা। আইরিশ ডিফেন্সে জস ক্যালেন জেসন নাইটকে বাড়ানো দুর্বল পাসের সদ্ব্যবহার করে ১৮ গজে দূর থেকে গোল করে যান ফরাসি রাইটব্যাক।
এরপরে আয়ারল্যান্ড চাপ বাড়ায় ফ্রান্সের অর্ধে। তবে সুবিধা করতে পারেনি। শেষদিকে আদ্রিয়ান রাবিয়ত এবং মুসা দিয়াবি গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। শেষদিকে, নাথান কলিনের হেড দুর্ধর্ষভাবে বাঁচিয়ে আইরিশদের সমতা ফেরানোর রাস্তা বন্ধ করে দেন মাইগনান। গোটা ম্যাচে এমবাপে আইরিশ ডিফেন্সে দাঁত ফোটাতে ব্যর্থ। শান্তই থাকলেন তিনি।
ফ্রান্সের হয়ে এদিন নজর কাড়লেন গোলকিপার মাইগনান। হুগো লরিসের অবসরের পর যিনি আপাতত ফ্রান্সের ফার্স্ট চয়েস গোলকিপার। গোটা ম্যাচে কার্যত চিনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে আইরিশদের বেশ কিছু নিশ্চিত গোলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেন তিনি।