এভারেস্ট বিজয় এর আগে দুবার, নর্থ ফেস ধরে ২০১৪ সালে, সাউথ ফেস ধরে ২০১৭-তে। এছাড়াও মানাসলু শিখরে আরোহণ ২০১৩ সালে। কিন্তু ওয়াংডি গ্যালটো ভুটিয়া জানেন, মে মাসের ২২ তারিখে যখন তিনি তৃতীয় বার এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করবেন, সেই অনুভূতি হবে অনন্য, একেবারেই ভিন্ন। কারণ এবার তাঁর হাতে থাকবে তাঁর প্রিয়তম আইপিএল টিমের পতাকা, কলকাতা নাইট রাইডার্স বা কেকেআরের নিশান। সেই পতাকা, যা তিনি সগর্বে উত্তোলন করতে চান পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে।
আরও পড়ুন: স্টুলিশ কি ফুলিশ বানাচ্ছে নেটিজেনদের? নতুন এই অ্যাপ ফিভারে কতটা কাবু ফেসবুক!
বছর পয়ঁত্রিশের ওয়াংডি পেশাদার পর্বতারোহী, দার্জিলিঙের বাসিন্দা। আইপিএলের জন্মলগ্ন থেকেই নাইট রাইডার্সের অন্ধ ভক্ত। "বহুদিনের স্বপ্ন এভারেস্টের চূড়োয় কেকেআরের পতাকা উড়তে দেখার। কাউকে বলতাম না যদিও। এবছর যখন বুঝলাম যে আমাদের এভারেস্ট অভিযান আর আইপিএল একই সময়ে ঘটতে চলেছে, ঠিক করলাম এই সুযোগ হাতছাড়া করব না," নেপালে ১৭,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এভারেস্ট বেস ক্যাম্প থেকে বলেন ওয়াংডি। "আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে ২২, নাহয় ২৩ মে চূড়োয় পৌঁছবো, যার মানে আইপি এল ফাইনালের বেশ কিছুদিন আগে। এবছর কেকেআরের জিৎ দেখবই।"
স্বভাবতই, টিম কেকেআর এই খবরে অভিভূত। কেকেআরের শীর্ষকর্তারা অপেক্ষায় রয়েছেন শৃঙ্গজয়ের। তারপর সংবর্ধনার আয়োজনের কথাও মাথায় রয়েছে নাইট শিবিরের। "কেকেআর পরিবারের সকলের তরফ থেকে ওয়াংডির জন্য রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা। এভারেস্টের শিখরে আমাদের পতাকা উড়বে, এর চেয়ে সম্মানজনক আর কী হতে পারে?" বলেন কেকেআরের এমডি এবং সিইও ভেঙ্কি মাইসোর।
আরও পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেট: টস কি অবলুপ্তির পথে? ভাবছে আইসিসি
বিশেষ মুহূর্ত যাতে আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, সেইজন্য ওয়াংডি প্রথমে ঠিক করেছিলেন অক্সিজেন ছাড়াই আরোহণ পর্ব সারবেন। কিন্তু এভারেস্ট শিখরের কাছাকাছি আবহাওয়ার অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, ফলে তাঁকে হয়ত এক বোতল অক্সিজেন ব্যবহার করতেই হবে শেষমেষ, বলে মনে করছেন তিনি। ড্রিমার্স ডেস্টিনেশন নামক যে দলটির তিনি সদস্য, সে দলে আরও রয়েছেন ক্লাইম্বিং সর্দার এবং এভারেস্ট শৃঙ্গে ক্ষিপ্রতম আরোহণের জন্য গিনেস রেকর্ডধারী পেম্বা দোর্জে শেরপা, ভুচুং লামা, এবং ফুরবা তেনজিং শেরপা। তাঁর স্বপ্ন সফল হওয়ার সম্ভাবনায় তাঁর সঙ্গীরা অত্যন্ত খুশি, জানাচ্ছেন ওয়াংডি।
শনিবার হায়দরাবাদে কেকেআর মুখোমুখি হচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ওয়াংডির স্থির বিশ্বাস, বাইশ গজের ওই লড়াইয়ের মুহূর্তে টিম ভুলবে না আরেক যোদ্ধাকে, যিনি চরম প্রতিকূল আবহাওয়া এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিপদসংকুল ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে লড়বেন তাঁর প্রিয় টিমের পতাকা এমন এক উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য, যা আক্ষরিক অর্থেই সবার ওপরে। ২৯,০২৯ ফুট ওপরে।