Advertisment

প্রত্যেক ক্রিকেট ম্যাচেই গড়াপেটা হয়, জেরায় বিস্ফোরক বুকি

জেরায় চাওলা পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৯৯৩ সালে তিনি ভারত ছেড়ে পাকাপাকিভাবে লন্ডনে ঘাঁটি গাড়েন। অক্সফোর্ড স্ট্রিটে তাঁর দোকানও রয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দিল্লি পুলিশকে গোপন জবানবন্দিতে দেওয়া বিবৃতিতে ফের বিস্ফোরক গ্রেফতার হওয়া বুকি সঞ্জীব চাওলা। ২০০০ সালে হ্যান্সি ক্রোনিয়ে কাণ্ডে ধৃত এই বুকি সাফ জানালেন, কোনো ক্রিকেট ম্যাচই নিখুঁত অবস্থায় খেলা হয়না। সব ক্রিকেট ম্যাচেই গড়াপেটা হয়ে থাকে। পাশাপাশি তাঁর ইঙ্গিত, গোটা বিশ্ব জুড়েই ক্রিকেট বেটিংয়ের ক্ষমতাশালী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। ক্রিকেট ম্যাচ আসলে একটা সিনেমা যা অন্য কেউ পরিচালনা করছে।

Advertisment

একের পর এক বিস্ফোরক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ব ক্রিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করা সেই ক্ষমতাশালী মাফিয়া গোষ্ঠীর টার্গেট এই দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চালানো ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার জি রামগোপাল নাইক। তাঁর জীবনও সংকটের মধ্যে এমনটাও জানিয়েছেন সঞ্জীব চাওলা।

দিল্লির এই ব্যবসায়ী বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী সঞ্জীব চাওলা জেরার মুখে জানিয়েছেন, তিনি এর বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ "ক্রিকেটের আন্ডারওয়ার্ল্ড, সিন্ডিকেট ভয়ঙ্কর। যদি কোনো বিষয়ে মুখ খুলি তাহলে আমাকে খুন করা হতে পারে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সিপি (ক্রাইম) প্রবীর রঞ্জন জানিয়েছেন, "পুরো বিষয়টি যেহেতু তদন্তাধীন তাই কোনো বিষয়ের তথ্য শেয়ার করতে পারবো না আমরা।"

দিল্লি পুলিশ অতিরিক্ত চার্জশিটে জানিয়েছে, চাওলা এই তদন্তে সাহায্য করছেন না, এর থেকেই পরিষ্কার উনি এই গড়াপেটায় যুক্ত। ট্রায়াল কোর্টের জামিনের অর্ডারে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি না করায় চলতি মাসেই তিহার জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন সঞ্জীব চাওলা। তারপরেই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ। আগামী মাসেই তার শুনানি হওয়ার কথা। জানা গিয়েছে, চাওলার অন্য সহযোগীরা হলেন, কৃষণ কুমার, রাজেশ কালরা, সুনীল দারা।

২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফরে কীভাবে গড়াপেটা করা হয়েছিল, তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে চার্জশিটে। পাশাপাশি হ্যান্সি ক্রোনিয়ের সঙ্গে চাওলার কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিংও রয়েছে পুলিশের কাছে।

জেরায় চাওলা পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৯৯৩ সালে তিনি ভারত ছেড়ে পাকাপাকিভাবে লন্ডনে ঘাঁটি গাড়েন। অক্সফোর্ড স্ট্রিটে তাঁর দোকানও রয়েছে। তিনি জানান, কৃষণ কুমার, রাজেশ কালরা, সুনীল দারা তাঁর পুরোনো বন্ধু এবং বুকি কাণ্ডেও জড়িত। দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে থাকায় তিনি ইউকে র নাগরিকত্বও নিয়ে নেন ২০০০ এর শুরুর দিকে। দীর্ঘদিন প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া চালানোর পর এই বছরেই চাওলাকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়।

cricket BCCI
Advertisment