Robin Uthappa arrest warrant: ইপিএফ জালিয়াতির অভিযোগে প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল। সেন্টোরাস লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক উত্থাপ্পা কর্মীদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া ২৩ লক্ষ টাকা পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা দেয়নি বলে অভিযোগ। এর প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক পিএফ কমিশনার (২য়) এবং পুনরুদ্ধার আধিকারিক, শাদাক্ষরা গোপাল রেড্ডি, পূর্ব বেঙ্গালুরুর পুলকেশিনগর থানাকে ৪ ডিসেম্বর উথাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে পুলিশ জানিয়েছে যে উথাপ্পা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ওয়ারেন্টে উল্লিখিত ঠিকানায় থাকেন না। তিনি বর্তমানে দুবাইয়ে থাকেন। পুলিশ ওয়ারেন্টটি কেআর পুরমের পিএফ অফিসে ফেরত দিয়েছে। সঙ্গে, জানিয়ে দিয়েছে যে উথাপ্পা আর তাঁদের এক্তিয়ারের মধ্যে নেই। একজন সিনিয়র অফিসার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, উথাপ্পার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি। কারণ কোনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এই ব্যাপারে ওই অফিসার বলেন, 'আমরা এক সপ্তাহ আগে পিএফ অফিস থেকে চিঠি পেয়েছি। গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি এসেছিল। উথাপ্পা আগে পুলকেশিনগরের হুইলার রোডের এক অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। আমাদের কর্মীরা ঠিকানাটি দেখে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে তিনি একবছর আগে ওই ফ্ল্যাট থেকে চলে গিয়েছেন। আর, এখন দুবাইতে থাকেন। আমরা সেটি পিএফ অফিসে জানিয়ে দিয়েছি।'
এর আগে পিএফ অফিসের তরফে পুলিশকে বলা হয়েছিল, 'আপনাদের জানানো হচ্ছে যে ইন্দিরানগরের হ্যাল সেকেন্ড ফেজে অবস্থিত মেসার্স সেন্টরাস লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর, টিকে কৃষ্ণ দাস কর্মচারিদের পিএফ অ্যাকাউন্টের অর্থ ধারা ৭এ, ১৪বি এবং ৭কিউ অনুযায়ী জমা দেননি। যা ১৯৫২ সালের ইপিএফ আইন ভেঙেছে। এই সংস্থার পিএফ তহবিলে বকেয়া অর্থের পরিমাণ ২৩,৩৬,৬০২ টাকা। পুলিশ স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রবিন উত্থাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।'
আরও পড়ুন- অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকদের অবজ্ঞা, হিন্দিতেই সাংবাদিক সম্মেলন! বড় বিতর্কে রবীন্দ্র জাদেজা
চিঠিটিতে নিম্ন আয়ের কর্মীদের সুরক্ষার জন্য তৈরি সামাজিক কল্যাণ আইন ইপিএফ এবং এমপি আইন ভাঙার অভিযোগ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, 'সংস্থাটি বকেয়া শোধ না করায় এই অফিসের দরিদ্র কর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন। আর, সেই কারণেই সংস্থার ডিরেক্টর উথাপ্পা যে থানার এক্তিয়ারে থাকেন, সেই থানার আধিকারিকের মাধ্যমে তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ কার্যকর করার অনুরোধ করা হচ্ছে।' চিঠিটিতে আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ধারা ৭৩ এবং ইপিএফ এবং এমপি আইনের ধারা ৮বি-এরও উল্লেখ করা হয়েছে। উথাপ্পাকে গ্রেফতার করে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে পেশেরও অনুরোধও করা হয়েছে চিঠিটিতে।