Advertisment

Anshuman Gaekwad passes away: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০০ হাঁকানো সেই সুপারস্টার আর নেই! মর্মান্তিক খবরে ভেসে গেল টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেট

Anshuman Gaekwad dead: ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে অংশুমান গায়কোয়াড ১৫টি টেস্ট এবং ৪০টি ওয়ানডে খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর নির্বাচক এবং জাতীয় দলের কোচ হিসেবেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
India, Pakistan

India-Pakistan: গত বছর একদিনের বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একটি মুহূর্ত। (ছবি- টুইটার)

Anshuman Gaekwad passes away: ক্রিকেটার হিসেবে কোচ হিসেবে বহু ম্যাচ জিতেছেন। তবে ক্যানসারের সঙ্গে মারণ লড়াইয়ে আর পেরে উঠলেন না। ৭১ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ অংশুমান গায়কোয়াড। দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। গত মাস পর্যন্ত ছিলেন লন্ডনে। তবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন দেশের মাটিতে বরোদাতেই। একাধিক সমস্যায় হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি।

Advertisment

১৯৭৫ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে অংশুমান গায়কোয়াড ১৫টি টেস্ট এবং ৪০টি ওয়ানডে খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর নির্বাচক এবং জাতীয় দলের কোচ হিসেবেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ৭০ টেস্ট ইনিংসে ১৯৮৫ রান করেছেন। ১৯৮২/৮৩ পাকিস্তান সিরিজে ২০১ রান-ও করেছিলেন। সেটাই ছিল তাঁর হায়েস্ট স্কোর। ৬৭১ মিনিট ধরে ব্যাট করে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। সেই সময় সেটাই ছিল মন্থরতম দ্বিশতরানের নজির।

পূর্ণ শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেস ব্যাটারির সামনে অংশুমান গায়কোয়াডের জ্যামাইকায় ৮১ রান করার নজিরও রয়েছে। বাউন্সারে বিধিনিষেধ নেই, হেলমেট নেই- এমন জমানায় তাঁর এই ইনিংস বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখে। মাইকেল হোল্ডিংয়ের বাউন্সার তাঁর কানে আছড়ে পড়েছিল। ফেটে গিয়েছিল কানের পর্দা। সেই জন্য অস্ত্রোপচারের টেবিলেও যেতে হয়েছিল সেই সিরিজে। প্ৰথম শ্রেণির কেরিয়ারের শেষ ম্যাচেও শতরান করে ব্যাট-প্যাড তুলে রেখেছিলেন।

১৯৯৭ থেকে ২০০০-এর মধ্যে দুটো পৃথক পৃথক স্পেলে ভারতীয় দলের কোচ হন। শচীন তেন্ডুলকর ক্যাপ্টেন থাকাকালীন একবার কোচ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারি যখন ভারতীয় ক্রিকেটকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিল, সেই সময় কোচ কপিল দেব পদত্যাগ করেন। রূপান্তরের সেই পর্বে দ্বিতীয়বারের মত কোচ হন অংশুমান গায়কোয়াড।

তাঁর কোচিংয়ে ভারত ফ্রিডম কাপ জয় করে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ২-১'এ সিরিজ জয় তো রয়েইছে। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজে ড্র করেছিল সেজে সময়ের টিম ইন্ডিয়া। তিনি কোচ থাকার সময়েই অনিল কুম্বলে দিল্লিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইনিংসে ১০ উইকেট শিকার করার বিরল নজির গড়েন। ২০০০-এর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে কোচিং করানোর জন্য তাঁর কাছে প্রস্তাব দেন তৎকালীন বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট এসি মুথাইয়া। তাঁর কোচিংয়ে ভারত ফাইনালে পৌঁছয়। তবে খেতাব নির্ণায়ক ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার মানতে হয় শেষমেশ।

তিনি অসুস্থ এমন খবর চাউর হওয়ার পর কপিল দেব, দিলীপ বেঙ্গসরকার, সন্দীপ পাতিলরা বোর্ডের কাছে আর্থিক সহায়তার আর্জি করেন। তারপরেই বোর্ড সভাপতি জয় শাহ ১ কোটি টাকা সাহায্য করেন বোর্ডের তহবিল থেকে।

BCCI Indian Cricket Team Indian Team Team India
Advertisment