ক্রিকেট দুনিয়া বদলে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা সর্বত্র। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ক্রিকেট হাজির নিত্যনতুন আঙ্গিকে। কোটি কোটি ব্যবহারকারীদের কাছে এবার ক্রিকেটকে পৌঁছে দিতে সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করল আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার ডিজিটাল পার্টনার হচ্ছে এবার ফেসবুক। বৃহস্পতিবারেই যুগান্তকারী চুক্তিতে ফেসবুকের সঙ্গে হাত মেলাল আইসিসি। ভারতীয় উপমহাদেশে আইসিসি-র যেকোনও ইভেন্টের এক্সক্লুসিভ ডিজিটাল পার্টনার আইসিসি।
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে। বিশ্বকাপ চলাকালীন আইসিসি-র ডিজিট্যাল অ্যাকাউন্টে টুর্নামেন্টের ভিডিও দেখেছিলেন ৪.৬ বিলিয়নেরও বেশি ক্রিকেট সমর্থক। টুইটারে #CWC19 ভিডিও-ও কোটি কোটি দর্শক দেখেছেন। বিশ্বকাপের পরেই ক্রীড়াদুনিয়ায় অন্যতম শীর্ষস্থানীয় খেলা হিসেবে উঠে এসেছিল ক্রিকেট। তারপরেই নতুন পথে হাঁটল আইসিসি।
আইসিসি-র প্রধান কার্যনির্বাহী মানু সাহানী বলেন, "বেশ কয়েকবছরের চুক্তিতে ক্রিকেট পরিবারের সঙ্গে আবদ্ধ হচ্ছে ফেসবুক। ক্রীড়াদুনিয়ার অন্যতম সফল খেলার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার সর্ববৃহৎ প্ল্য়াটফর্মের মেলবন্ধন ক্রিকেটের পক্ষে ভালই হবে।" পাশাপাশি আইসিসি-র পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "নিলাম প্রক্রিয়া চলাকালীন একাধিক ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম আইসিসি-র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে প্রস্তুত ছিল। তবে এর মধ্যে থেকে ফেসবুককেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ফেসবুক এখন থেকে আইসিসি’র ডিজিটাল পার্টনার।’
এর আগে উপমহাদেশে লা লিগার স্বত্ত্ব কিনেছিল ফেসবুক। ভারতীয় ক্রিকেটের সম্প্রচারের জন্য আগ্রহী হয়েছিল ফেসবুক। তবে সেই লক্ষ্যে সফল না হলেও, আইসিসি-র হাত ধরে মার্ক জুকারবার্গের ফেসবুক ক্রিকেট দুনিয়ায় প্রবেশ ঘটিয়ে ফেলল। এর ফলে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসি-র ইভেন্টে বিভিন্ন ম্যাচের হাইলাইটস, টক শো দেখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্রিকেট শো করার অনুমতি পেল ফেসবুক। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশে একাধিক ইভেন্ট রয়েছে। ২০২০ সালে মহিলাদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ২০২০ পুরুষদের টি২০ বিশ্বকাপ, ২০২১ মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সম্প্রচারের স্বত্ত্ব পেল জুকারবার্গের ফেসবুক।
Read the full article in ENGLISH