রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া টি২০ বিশ্বকাপে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। সেই ব্যর্থতার দায় চাপিয়ে গোটা নির্বাচনী প্যানেলকেই ছাঁটাই করেছিল বিসিসিআইয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট রজার বিনি। চেতন শর্মার সহ গোটা নির্বাচনী প্যানেলের চুক্তি নবীকরণ করা হয়নি।
তারপরে নতুন নির্বাচনী প্যানেল বাছাইয়ের জন্য নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফে। নির্বাচকদের বেছে নেওয়ার জন্য তিন সদস্যের ক্রিকেট কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যেখানে বাংলার অশোক মালহোত্রার সঙ্গে রাখা হয়েছে সুলক্ষনা পন্ডিত, যতীন পরঞ্জপে।
নতুন নির্বাচক প্যানেলের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। বহু প্রাক্তন ক্রিকেটার আবেদন করেছেন নির্বাচক হওয়ার জন্য। অজিত আগারকার থেকে ভেঙ্কটেশ প্রসাদের মত একাধিক হেভিওয়েট নাম ভেসে উঠছে পরবর্তী নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে।
আরও পড়ুন: প্ৰথম টেস্টের সেরা কুলদীপকেই বাদ দিল ইন্ডিয়া! গালাগালি দিতে ইচ্ছা করছে গাভাসকারের
এর মধ্যেই খবর, বিসিসিআইয়ের দফতরে নাকি বহু ভুয়ো আবেদন জমা পড়েছে। স্পোর্টস তক-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহেন্দ্র সিং ধোনি, শচীন তেণ্ডুলকার, বীরেন্দ্র শেওয়াগ এমনকি পাকিস্তানের ইনজামাম-উল-হকের নাম করেও ভুয়ো আবেদন জমা করা হয়েছে।
যাইহোক, বোর্ডের তরফে জাতীয় নির্বাচক পদের জন্য শর্ত বেঁধে দিয়েছে। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ৭টি টেস্ট ম্যাচ অথবা ৩০ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ অথবা ১০টি ওয়ানডে অথবা ২০ টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিরাই আবেদন করতে পারবেন জাতীয় নির্বাচক পদের জন্য।
নূন্যতম পাঁচ বছর আগে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া ব্যক্তিরাই আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, অতীতে কোনও ক্রিকেট কমিটির সদস্য হিসাবে পাঁচ বছর যুক্ত থাকলে নির্বাচক হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ছিল আবেদন করার শেষ দিন।
চেতন শর্মার নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচকদের প্যানেলে ছিলেন হরবিন্দর সিং, সুনীল জোশি এবং দেবাশিস মোহান্তি। চেতন শর্মাদের প্যানেল ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সফর পর্যন্ত স্কোয়াড ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। নতুন প্যানেল গুছিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন সময় পাবে।