শচীনের প্রথম ডাকনাম ছিল ম্যাক, জন ম্যাকেনরোর প্রতি তার মুগ্ধতা আজীবন
-"ম্যাকনরোর ম্যানারিজম আমাকে মুগ্ধ করত। আমাদের পুরো পাড়া বিয়ন বর্গের সমর্থক ছিল এবং আমিই একমাত্র ম্যাকেনরোকে সমর্থন করতাম। ৩০-৪০ জন একসঙ্গে বসে খেলা দেখত এবং সবাই বোর্গের জন্য উল্লাস করত। ম্যাকেনরোর জন্য একমাত্র আমিই ছিলাম। আমি ওঁর কিলার ইন্সটিংক্ট, অবিশ্বাস্য এঙ্গেল উপভোগ করতাম বরাবর। আমি হেডব্যান্ড পরে আমার বিল্ডিংয়ে টেনিস খেলতাম। ইচ্ছা হত, যদি কেউ আমাকে ম্যাকেনরো বলে ডাকে! টেনিস খেলার সময় আমার ডাকনাম ছিল ম্যাক। আমার আজ পর্যন্ত ওঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি।”
*একটি আংটির পরিবর্তে, তেন্ডুলকার তার বাগদানের জন্য একটি ব্রেসলেট পেয়েছিলেন
-“আমি অঞ্জলিকে বলেছিলাম একটা আংটির বদলে একটা ব্রেসলেট দিতে। কারণ আংটি আমি হারিয়ে ফেলতে পারি। ব্যাটিং করার সময়ও আমাকে এটি সরাতে হত না।"
*মেয়াদ শেষ হওয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা
“২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের সবচেয়ে ভালো দিকটি ছিল সকলকে ভুল প্রমাণ করা গিয়েছিল। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের পর ভাবা হয়েছিল করা হয়েছিল যে এই সিনিয়রদের কেরিয়ার খতম। এর একাধিক কারণ ছিল; আমি এত বিস্তারিত বলতে চাই না। তবে সবচেয়ে ভাল দিক ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ ব্যক্তিরাই বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিল। স্কোয়াডের ৮০ শতাংশ সদস্য পুরোনোরাই ছিল।
*অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে মজাদার অভিজ্ঞতা
-“ও একজন আক্রমণাত্মক বোলার। আমিও একজন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান। অ্যালান এখনও একজন ভালো বন্ধু। একবার মনে আছে, ডোড্ডা গণেশ ব্যাট করতে এসেছিল, অ্যালান ওঁকে হুঙ্কার দিয়ে বলেছিল, "আমি তোমাকে আঘাত করতে চলেছি।" সেই মুহুর্তে আমি মীমাংসা করার উদ্দেশ্যে ওঁকে বলি, 'ডোড্ডার সঙ্গে আমিই ঠিকমত কথা বলতে পারি না। আমার কথা ও বুঝতেই পারে না। তাই ও যে তোমার কথাও বুঝবে সেরকম কোনও নিশ্চয়তা নেই। তুমি তোমার বোলিংয়ে মনোযোগ দাও! তারপর নব্বইয়ের দশক থেকে আমরা বন্ধু।"
*ডাল-ভাত, আলু ভাজির প্রতি অর্জুন তেন্ডুলকারের ভালোবাসা
-“অর্জুন ছোটবেলায় শুধু ডাল ভাত আর আলু ভাজি খেত। যা বিশেষভাবে বানাতে হত। সারা ছিল ঠিক উল্টো। অঞ্জলি একটি কুকার নিয়ে যেত এবং প্রতিদিন সন্ধ্যায় অর্জুনের জন্য রান্না চাপাত। ও প্রতিদিন এগুলোই খেত এবং তারপরে আমরা রাতের খাবারের জন্য বাইরে যেতাম সারার জন্য। এখন অবশ্য সারা অনেক বদলে গিয়েছে। আমার আক্ষেপ সারা-অর্জুনের শৈশবে বেশিক্ষণ সময় কাটাতে পারিনি। সেগুলো এখন মিস করি। এখন আমি ঝাড়া হাত পা। তবে ওঁরা আবার এখন ব্যস্ত।"
*একই দিনে শচীনের কাম্বলির সাথে রেকর্ড গড়া, এবং জুনিয়র দলের হয়ে ১৭৮ রান করা
-“যখন আমরা সেই বিশ্ব রেকর্ড ৬৬৪ রানের পার্টনারশিপ তৈরি করি, সেই সময়েই ওই ম্যাচ চলছিল সমান্তরালভাবে। তখন আমাদের জুনিয়র দলে আঞ্জুমান ইসলাম খেলছিল। আমদের ৩৭০ রান চেজ করতে হচ্ছিল। আমার দুটো দলই ১০ জন ফিল্ডার নিয়ে খেলেছিল। কারণ আমি দুই দলের একাদশেই ছিলাম (ব্যাটসম্যান হিসেবে, ফিল্ডার নয়)। আমি বিশ্ব রেকর্ডের পরেই ছুটে যাই অন্য মাঠে, এবং সেই ম্যাচেও ১৭৮ রান করি। জয়ও পাই আমরা।"
Read the full article in ENGLISH