গত মাসে বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং পর্বে ঘানা ম্যাচে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন উরুগুয়ের জাতীয় দলের একাধিক ফুটবলার। আগ্রাসীভাবে ম্যাচ আধিকারিকদের দিকে তেড়ে যেতে দেখা গিয়েছিল ফার্নান্দো মুসলেরা, হোসে মারিয়া জিমেনেজকে। দুই ফুটবলারকেই শুক্রবার চার ম্যাচ নির্বাসনে পাঠানোর কথা ঘোষণা করল ফিফা। এই দুজনের সঙ্গেই বর্ষীয়ান ডিফেন্ডার দিয়েগো গদিন এবং ফরোয়ার্ড এডিনসন কাভানিকেও এক ম্যাচ বাইরে বসতে হবে। এমনটাই জানাল ফিফা।
দোষী ফুটবলারদের ফুটবলের এক প্রকল্পে জনহিতকর কাজে লিপ্ত হতে হবে। সেই সঙ্গে ২০ হাজার সুইস ফ্রা জরিমানা গুনতে হবে। ডিসেম্বরের ২ তারিখে ঘানাকে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে হারালেও গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোতে ব্যর্থ হয় সুয়ারেজের উরুগুয়ে। সেই সময়েই বিশৃঙ্খলা অবস্থার সৃষ্টি হয়।
আল জনৌব স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পর উরুগুয়ের ফুটবলাররা জার্মান রেফারি ড্যানিয়েল সিয়েবার্টের ওপর চড়াও হন। উরুগুয়ের ফুটবলারদের ধারণা সংযোজিত সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে রেফারি পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করেছে উরুগুয়েকে। সেই ম্যাচে আর একটা গোল করতে পারলেই গ্রুপ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বদলে শেষ চারে জায়গা করে নিতে পারত লাতিন আমেরিকান দলটি।
গ্রুপ-এইচ'এ কোন দল শেষ ষোলোয় পৌঁছবে, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। উরুগুয়ে-ঘানা ম্যাচ চলাকালীন দক্ষিণ কোরিয়ার সমর্থকরা দোহার বিভিন্ন প্রান্তে জড়ো হচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়া পর্তুগালকে শেষ ম্যাচে হারিয়ে রোনাল্ডোদের সঙ্গেই প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। কাভানি, গদিন এবং গোলকিপার মুসলেরা এই নিয়ে কেরিয়ারের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেললেন। স্ট্রাইকার হোসে জিমেনেজ তৃতীয় বিশ্বকাপে অংশ নিলেন।
Read the full article in ENGLISH