FIFA Football World Cup 2018, Belgium Vs Panama: বেলজিয়াম কাঁচের স্বচ্ছতায় মুখ দেখে অভ্যস্ত পৃথিবী। ওদেশ আবার ফিফা ক্রমতালিকাতেও তিনে। বেলজিয়াম মানে শুধু কাঁচ নয়, এখানে ফুটবল খেলাটাও হয়। আর যে ফুটবলে শুধুই চোখের আরাম হয়।
রাশিয়ার ফিস্ট স্টেডিয়ামে ৫৫ নম্বর দল পানামার বিরুদ্ধে যে বেলজিয়াম ভাল খেলবে সেটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু এদিন প্রথমার্ধে বেলজিয়াম-পানামা নেক-টু-নেক লড়ছিল। দু'দলের ফারাক চোখে পড়ছিল না। অবশ্যই পানামার কৃতিত্ব সেটা। কিন্তু বিরতির পর বেলজিয়াম চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল কেন রবার্তো মার্টিনেজের এই দল বেলজিয়ামের সোনার প্রজন্ম।
টিম গেম কোন পর্যায় যেতে পারে তা দেখাল ইডেন হ্যাজার্ডরা। ৪৭ মিনিটে ডি মার্টেনস একটা ভুবন ভোলানো ভলিতে বাকি ম্যাচের ফার্স্ট লুক দেখালেন। নাপোলির উইঙ্গার গাল্যারির উৎসবের টোন সেট করে দিলেন। এরপর ৬৯ মিনিটে রোমেলু লুকাকু যে গোলটা করলেন তা টিম আর ইউনিটের ফারাকটা বুঝিয়ে দিল। হ্যাজার্ডের কাট থেকে ডি ব্রুইনের ক্রস পৌঁছে গেল গোল পোস্টের সামনে দাঁড়ানো লুকাকুর কাছে। তিনি মাথা নিচু করে হেডটা শুধু প্লেস করে দিলেন। এর ছ'মিনিট পর আবার লুকাকু। এবারও ক্যাপ্টেন হ্যাজার্ড। সোলো রান থেকে একটা কাট। বল রিসিভ করেই ছুট লুকাকুর। বেলজিয়ামের তিন গোলে জিতে তিন পয়েন্ট নেওয়ার কাজটা নিখুঁত ভাবে করলেন তিনি। এখানেই শেষ খেলা।
বলতেই হবে হ্যাজার্ডের কথা আলাদা করে। প্রতিটা পজিটিভ মুভে নিজের নাম লিখিয়েছেন তিনি। স্ট্রাইকার থেকে পুরোপুরি প্লে-মেকার তিনি। এরকম অধিনায়কই চায় যে কোনও দেশ। ২১তম বিশ্বকাপে বুকি থেকে ফুটবল পণ্ডিত, সবার বাজি বেলজিয়াম। এই ডার্ক হর্স যে অনেক লম্বা রেসের ঘোড়া তার ঝলক পাওয়া গেল আজই।