FIFA Football World Cup 2018, Brazil Vs Switzerland: "হিস্ট্রি রিপিটস ইটসেল্ফ।" ইংরাজির বহুল প্রচারিত প্রবাদ বাক্যটি মাঠে ময়দানে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়। রবিবার রাশিয়ার রোস্তভ এরিনাতে কথাটা আরও একবার প্রমাণিত হল ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড ম্যাচের পর।
১৯৫০-এ প্রথম ও শেষবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড। সেবার ব্রাজিলেই বসেছিল বিশ্বকাপের আসর। ৬৮ বছর পর ফের বিশ্বকাপে মুখোমুখি হল এই দুই দল। ৫০-এ ম্যাচটা ২-২" ড্র হয়েছিল। এবারও ম্যাচ অমীমাংসিত থাকল। শুধু স্কোরলাইন বদলে হল ১-১।
নিষ্ফলা ম্যাচে ব্রাজিলের পারফরম্যান্স সে অর্থে খামতি নেই। জিঙ্গার ওপর ভর করেই যে তিতে জোগো বোনিতা ফিরিয়ে এনেছেন তার প্রমাণ কোয়ালিফাযারের সময় থেকেই বুঝিয়ে দিয়েছিল রাশিয়ার টিকিট সবার আগে সংরক্ষণ করা ব্রাজিল। এদিনও নেইমাররা সেটাই করলেন। সেই চেনা দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলেই।
যদিও ড্র নয়, ব্রাজিল বড় ব্যবধানেই জিততে পারত এদিন। একাধিক সহজ সুযোগ নষ্টের খেসারত দিল তারা। ওয়ান-টু-ওয়ান মিস থেকে লক্ষ্যহীন শট। এসব নিয়ে চললে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে জয় আসাটা মুশকিল। এদিন ব্রাজিলের ক্যাপ্টেন মার্সেলো আরও একবার চেনালেন কেন তিনি দলের ইঞ্জিন। সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হয়েও গোটা মাঠ জুড়ে খেলেন। এটাই মার্সেলো।
অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড ৯০ মিনিট জুড়েই পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর দিল। ছবির মতো সাজানো শহর, চকোলেট, চিজ, সেনা বাহিনী ও ঘড়ির জন্যই বিখ্যাত এই দেশ। আগামিদিনে তারা ফুটবলেও নিজেদের ছাপটা রাখতে পারে। ফিলিপ কুটিনহোর ২০ মিনিটের দুরন্ত গোলেও চাপে পড়েনি সুইসরা। বিরতির পরেই ৫০ মিনিটে স্টিভেন জুবারের গোলে সমতায় ফেরাই তার প্রমাণ। শেষ পর্যন্ত হাল না-ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে সুইসরা বুঝিয়ে দিলেন তাদের নিয়েও ভাবতে হবে।