ইংল্যান্ড ১ ( কেন ৫৭', পেনাল্টি), কলম্বিয়া ১ (মিনা ৯৪')
টাইব্রেকারে ৪-৩ জিতে শেষ আটে ইংল্যান্ড।
ডাগ আউটে বসে চোখের জল ফেলছেন হামেস রডরিগেজ। আর অন্যদিকে মাঠের মধ্যে সিংহ গর্জন ছাড়ছেন হ্যারি কেন। এটাই স্বাভাবিক। ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপের পর ফের শেষ আটে ইংল্যান্ড।মঙ্গলবার স্পার্টাক স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস লিখল তারা। শুট-আউটের অভিশপ্ত বিশ্বকাপ মঞ্চই হয়ে গেল শাপমুক্তির নতুন আশ্রয়।
শেষ কয়েক বছরে ইংল্যান্ড দল বিশ্বকাপ (১৯৯০, ১৯৯৮, ২০০৬) ও ইউরোর (১৯৯৬, ২০০৪, ২০১২) মতো মেজর টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে এই পেনাল্টি শ্যুটআউটে। কিন্তু এদিন তার ব্যতিক্রম ঘটল। কার্লোস বাকার শট আটকেই জর্ডন পিকফোর্ড ইংল্যান্ডের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিলেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ঝাঁপিয়েছিলেন গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। কিন্তু ম্যাচের মধ্যে দু'দলের ফুটবলাররা দফায় দফায় ধাক্কাধাক্কি, চোরাগোপ্তায় সামিল হন। আর এতেই ম্যাচের গতি কমে। বিরতির বাঁশি পর্যন্ত কোনও স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি হয়নি।
দ্বিতিয়ার্ধে ৫৭ মিনিটের মাথায় হোসে পেকারম্যানের টিম পিছিয়ে পড়ে। পেনাল্টিতে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন। পানামার বিরুদ্ধেও দু'টো গোল পেনাল্টিতে করেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপে এ নিয়ে ছ'টি গোল করে সোনার বুটের দৌড়ে এগিয়ে গেলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
ম্যাচের ৯৩ মিনিট পর্যন্ত এই ব্যবধান ধরে রাখে ইংল্যান্ড। কিন্তু ৯৪ মিনিটে ওয়াই মিনা স্কোরলাইন ১-১ করেন। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। সেখানেও কোনও দল গোলের দেখা পায়নি। ফলে পেনাল্টিতে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হল। আগামী শনিবার সামারায় সুইডেনের সঙ্গে সেমি ফাইনালের লড়াইয়ে নামবে ইংল্যান্ড।