স্পেন ১ ( কোস্তা ৫৪')
ইরান ০
মধ্য প্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় একচেটিয়া ফলের ব্যবসা করে ইরান। বিশ্বের প্রথম সারির ফল উৎপাদক দেশগুলির মধ্যেই তারা। কিন্তু ফিফার ক্রমতালিকায় প্ৰথম দশেও নেই উপমহাদেশের এই মহাশক্তিধর ফুটবল খেলিয়ে দেশ।
পাঁচবার বিশ্বকাপে খেলেও গ্রুপ পর্যায়ের গণ্ডী টপকাতে পারেনি তারা। বুধবার রাশিয়ার কাজান এরিনায় ইরান নেমেছিল প্রাক্তন ইউরো কাপ ও বিশ্বকাপ জয়ী দলের বিরুদ্ধে। বোঝাই যাচ্ছ, স্পেন ইরানের চেয়ে প্রায় সবদিক থেকেই এগিয়ে। কিন্তু মাঠে দেখা গেল পুরো উল্টো চিত্র। কোনওক্রমে এ যাত্রায় বেঁচে গেল স্পেন।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ইরানের আল্ট্রা ডিফেনসিভ মোডে রীতিমতো বশীভূত হয়ে যান দিয়েগো কোস্তা, ইস্কো, দাভিদ সিলভারা। ইরান নিজেদের বক্সের সামনে যেভাবে চার-পাঁচজন ফুটবলারকে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছিল, তা দেখে একমাত্র জোসে মরিনহোর বিখ্যাত পার্ক দ্য বাসের পরিকল্পনারই তুলনা টানা যায়। গোলের পথ খুঁজতেই গোটা প্রথমার্ধটা কাটিয়ে দিল স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধের ন'মিনিটের মাথায় খাতা খোলে স্পেন। জীবনের শেষ বিশ্বকাপেও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা একইরকম। চামচে করে মুখে খাবার তুলে দেওয়ার মতোই আজও কোস্তাকে পাসটা বাড়িয়ে দিলেন তিনি। এক্ষেত্রে কোস্তা দু'ম্যাচে মোট তিন গোল করে ফেললেন ঠিকই, কিন্তু গোলটা হল বরাত জোরে। বিপক্ষের ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে, কোস্তার শিন গার্ডে লেগে।
এই স্পেনের সঙ্গে সেই ভিন্টেজ স্পেনের অনেক ফারাক। ইরানের মতো দলের বিরুদ্ধেই জয় আনতে গিয়ে হিমশিম খেল তারা, তাহলে বড় দলের বিরুদ্ধে কী করবে! অন্যদিকে ইরানের নাছোড়বান্দা, মরিয়া মানসিকতা নজর টেনে নিল। সেখানে দ্য রেড ওয়ান অনেক ফিকে। খেলোয়াড়দের বন্ডিংটাই তৈরি হয়নি। বোঝাপড়ার অভাব জয়ের মধ্যেই দিনের আলোর মতো পরিস্ফুট।