সুইডেন ১ (ফ্রসবার্গ ৬৬'), সুইজারল্যান্ড ০
পাঁচের দশকে নর্ডিক ফুটবলে সুইডেনের সোনায় মোড়া একটা ইতিহাস আছে। পরের দিকে সেভাবে আর ফুটবলে রাজত্ব করতে পারেনি সুইডেন। যদিও হেনরিক লারসন, ফ্রেডি লুনবার্গ ও আন্দ্রেস গ্রেনকোয়েভিস্ট এক সময় আলো ছড়িয়ে ছিলেন।
সবাইকে ছাপিয়ে সুইডিশ রাজপুত্রের মতো বিরাজ করতেন ইব্রাহিভোমিচ। ২০১৬-তে ইউরো ব্যর্থতার পর আধুনিক ফুটবলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার আন্তর্জাতিক আঙিনা থেকে বুট জোড়া তুলে রাখলেন। তাঁর দেশ রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে তাঁর প্রত্যাবর্তনের আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইব্রা আর দেশের জার্সি গায়ে চাপাননি।
ইব্রার অবর্তমানে এই দেশটা কতদূর যাবে! যাবতীয় সংশয় দূর করে দিলেন এমিল ফ্রসবার্গ। মঙ্গলবার সেন্ট পিটার্সবার্গে তিনি হয়ে গেলেন সুইডেনের নতুন নায়ক। তাঁর গোলেই সুইডেন হারিয়ে দিল সুইজারল্যান্ডকে। ১৯৯৪-র পর সুইডেন ফের খেলবে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। দু'যুগ পর এল সেই সুযোগ। গোলের সুযোগ নষ্টের প্রাণহীন ম্যাচে ফ্রসবার্গ জ্বলে উঠলেন ৬৬ মিনিটে। হাফ মুন থেকে নেওয়া তাঁর শট সুইস ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকানজির পায়ে প্রতিহত হয়েও গোল হয়ে যায়। আর এই গোলই আগামী শনিবার সমারায় তাঁদের শেষ আটের টিকিট এনে দিল।
এদিন ম্যাচের ৯৪ মিনিটে সুইডেন ফের এগিয়ে যেতে পারত। গোল মুখে আগুয়ান মার্টিন অলসনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন মিশেল ল্যাং। রেফারি ল্যাংকে লাল কার্ড দেওয়ার পাশাপাশি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। এরপর কোথাও তাঁরও সংশয় হয়। ভিএআর-এর সাহায্যে পেনাল্টি বাতিল করেন কিন্তু লাল কার্ড জারি রাখেন। ফাউল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে পাওয়া ফ্রি-কিকে যদিও আরেকটা গোল করতে পারেনি সুইডেন।
সুইডেনে কেক ও কফি সহযোগে কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হলে বিষয়টাকে 'ফিকা' বলে। সুইডেন দেশে ফেরার পর ফ্রসবার্গকে কি ফিকায় ডাকবেন ইব্রা? তাঁর অপূর্ন কাজটাই তো করে দিলেন ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা। উত্তর দেবে সময়।