পাঁচ মিনিট অতিরিক্ত খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ চলে এল ভোলগোগ্রাদ এরিনাতে। ম্যাচের ফল তখন ১-১। আর চার মিনিট পরেই শেষ হবে ইংল্যান্ড বনাম টিউনিসিয়া ম্যাচ।
আচমকাই টিউনিসিয়ার বক্সে আছড়ে পড়ল হ্যারি কেন ঝড়। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল সব হিসেব। নিমেষে অমীমাংসিত ম্যাচের হয়ে গেল ফয়সলা। ইংল্যান্ড ২-১ জিতেই বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করল। ম্যাচের ৯১ মিনিটে হ্যারি কেন ভাসানো কর্নারে নিজের মাথা ছুঁইয়ে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দিলেন।
আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যে ফিফার ক্রম তালিকায় সবার উপরে টিউনিসিয়া। ২১ নম্বরে থাকা দল কিন্তু প্রায় বোতলবন্দি করে ফেলেছিল থ্রি লায়ন্সকে। কিন্তু কেনের অন্তিম লগ্নের ঝটকাই সব পাল্টে দিল।
এদিন ম্যাচের ১১ মিনিটে এই কেনের গোলেই এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৩৫ মিনিটে এফ সাসির পেনাল্টিতে গোল অনায়াসে তিউনিসিয়ার সমতা ফিরিয়ে আনে। এদিনের খেলার গতি প্রক্রিয়া আরও একটা ড্রয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। সেখান থেকে ম্যাচটা এভাবে ঘুরবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।
গ্যারেথ সাউথগেটের জন্য ইংল্যান্ড টিমটার দিকে চোখ রাখতে হবে। হ্যারি কেন বোঝালেন কেন তিনি সেরাদের মধ্যে অন্যতম। থ্রি লাায়ন্স-এর গর্জনেই হোঁচট খেল আফ্রিকান সাফারি।