দীর্ঘ আট বছর পর ভারতীয় ফুটবল দল 'সিটি অফ জয়'-তে ফিরল। ফুটবল পাগল শহরে ফিরে দেশের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধুর জীবনের একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হলো।
২০০৯ সালে তরুণ গোলরক্ষক হিসাবে গুরপ্রীত আই-লিগ দল ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছিলেন। গোটা মরসুমটাই তিনি লাল-হলুদের জার্সিতে কাটিয়েছিলেন। আজ তিনি দেশের এক নম্বর গোলকিপার। তে-কাঠির নিচে তাঁর বিস্বস্ত দস্তানা বহু ম্য়াচে দেশের মান রেখেছে।
২০১০ সালে কলকাতা ফুটবল লিগে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রথম ডার্বি খেলেছিলেন সান্ধু। ০-০ ড্র হয়েছিল ম্য়াচ। আগামিকাল সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার ম্য়াচে খেলবে ইগর স্টিম্য়াচের দল। গোলপোস্টের নিচে থাকবেন সেই গুরুপ্রীত।
আরও পড়ুন: FIFA WCQ: ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ ৫০-৫০, বলছেন মামুনুল
রবিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিসের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন গুরপ্রীত। কলকাতায় ফের খেলার জন্য় মুখিয়ে রয়েছেন ৬ ফুটের এই গোলকিপার। বললেন, " কলকাতায় হাউসফুল গ্য়ালারিতে খেলার একটা বাড়তি অ্য়াডভান্টেজ রয়েছে। আমি অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমি জানি এই স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের মাহাত্ম্য়। আমি খেলার জন্য় মুখিয়ে রয়েছি। আবার সেই চিৎকার শুনতে চাই। কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যাপার "
ফাইল ছবি
এএফসি এশিয়ান কাপ জয়ী কাতারের বিরুদ্ধে অসাধারণ পারফরম্য়ান্স ছিল ভারতের। শেষ ম্য়াচে সান্ধুর সৌজন্য়ে ভারত ড্র করে তাদের সঙ্গে। অসাধারণ পারফরম্য়ান্সের প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, "কাতারের মতো দলের বিরুদ্ধে খেলে তরুণ প্লেয়ারদের আত্মবিশ্বাসটাই বেড়ে গিয়েছে। মন্দার রাও দেশাই, নিখীল পুজারি, মণবীর সিংয়ের মতো খেলোয়াড়রা অনেক দিনের ব্রেকের পর খেলল। ওদের ওপর আমাদের পুরো বিশ্বাস রয়েছে। আশা করছি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওরা এগিয়ে আসবে।"
যদিও গুরপ্রীত বাংলাদেশকে একদমই হালকা ভাবে দেখছেন না। রীতিমতো সমীহ করছেন পদ্মাপারের দেশকে। বিপক্ষকে নিয়ে গুরপ্রীতের মত, "আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ ভাল দল। হৃদয় দিয়ে খেলে। অসম্ভব প্রাণশক্তিতে ভরপুর একটা দল। কাতারের জন্য়ও কাজটা কঠিন করে দিয়েছিল বাংলাদেশে। ফলে ওদের হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।"
Read full story in English