টানা চার ম্যাচ জয়হীন ভারত। মঙ্গলবার জয়ের খোঁজেই ওমানের বিরুদ্ধে মাসকাটে খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। ডু অর ডাই ম্যাচে তিন পয়েন্টের জন্যই ঝাঁপাবে ভারত। গুয়াহাটিতে প্রথম পর্বে অবশ্য ওমানের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল ভারতকে। সুনীল ছেত্রী প্রথমার্ধেই ভারতকে এগিয়ে দিয়েছিলেন গোল করে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষ লগ্নে জোড়া গোল করে যায় ওমান।
শেষ ম্যাচে ওমান বাংলাদেশকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। আত্মবিশ্বাস সঙ্গে করেই ভারতের মোকাবিলা করবে তারা। অন্যদিকে, ভারত আত্মবিশ্বাসের অভাবেই ভুগছে। কাতারের বিরুদ্ধে ড্র করে প্রশংসিত হয়েছিল গুরপ্রীত সিংহদের ভারত। তবে বাকি ম্যাচেও জয়ের সন্ধান পায়নি টিম ইন্ডিয়া।
তিনটে ড্র সহ একটি হার, ভারত আপাতত গ্রুপ-ইতে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সমসংখ্যক ম্যাচে ওমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বর স্থানে রয়েছে। চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে কাতার আপাতত গ্রুপ শীর্ষে। এমনিতেই পরের রাউন্ডের আশা কার্যত নেই। ওমানের বিপক্ষে আর একটি হারেই ভারত সরকারিভাবে ছিটকে যাবে পরের রাউন্ডে ওঠা থেকে।
তবে ওমানের বিরুদ্ধে ড্র করতে পারলেও ২০২৩-এ এশিয়ান কাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে খেলার বিষয়ে টিকে থাকতে পারবে ভারত। স্টিম্যাচের দলের প্রধান সমস্যা শুধুমাত্র রক্ষণেই আটকে নেই, আক্রমণভাগও চূড়ান্ত ব্যর্থ। ক্রোয়েশিয়ান কোচ বাস্তবের মাটিতে পা রেখে জানাচ্ছেন, "গুয়াহাটিতে যে ওমানের বিপক্ষে আমরা খেলেছিলাম, সেই দলের থেকে বর্তমান দল আরও উন্নতি করেছে। কোনও সন্দেহ নেই ওরাই ফেভারিট। প্রত্যেকেই জানি, এই ম্যাচে আমাদের তীব্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।"
পরিসংখ্যান বলছে, ওমানের বিরুদ্ধে ১১টি ম্যাচে খেলে ভারত এখনও কোনও জয় পায়নি। আটবারই জয় পেয়েছে ওমান। তিনবার ড্র রাখতে সমর্থ হয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
ফর্মের পাশাপাশি ভারতীয় দলের সমস্যা বাড়িয়েছে চোট-আঘাতও। আফগানিস্তান ম্যাচের আগেই পারিবারিক কারণে দেশে ফিরে এসেছিলেন আনাস ইডাথোডিকা। অন্য সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার সন্দেশ জিংঘানেরও চোট রয়েছে। পাশাপাশি চোটের তালিকায় রয়েছেন রোওলিন বর্জেস, অমরজিৎ সিংয়েরও।
Read the full article in ENGLISH