ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্ৰথমবার মহিলাদের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হল স্পেন। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল স্প্যানিশ ব্রিগেড। তবে ইউরোপীয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েই এবার বিশ্বসেরার মুকুট পরল স্পেন। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে পুরুষদের বিশ্বকাপে ওয়ার্ল্ড কাপ জিতেছিল ইংরেজরা। এবার মহিলারাও বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাবে, এমনটাই ভেবেছিল ইংল্যান্ড। তবে সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিল স্প্যানিশ মহিলারা।
এই নিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপের মূলপর্বে পৌঁছেছিল স্পেন। আর তৃতীয়বারেই জয়ের মুকুট পরলেন স্প্যানিশ তারকারা। ২৯ মিনিটেই স্পেন প্ৰথম লিড নেয় ওলগা কারমোনার গোলে। এই নিয়ে টানা ওয়ার্ল্ড কাপের ম্যাচে গোল করলেন ওলগা। সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে গোল করার নিরিখে সপ্তম তারকা হিসাবে নাম লেখালেন তিনি। স্পেনও চলতি বিশ্বকাপে ১৮ গোলের বন্যা ছোটাল।
গত বছর মহিলাদের স্প্যানিশ ফুটবলে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল। ১৫ জন ফুটবলার জাতীয় দল ছেড়ে দিয়েছিলেন। এবার সেই বিদ্রোহের ধাক্কা কাটিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ডকে কার্যত দাঁড়াতেই দিল না। টানা আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে ফেলল ইংরেজদের।
ইংল্যান্ড মহিলাদের ফুটবলে প্ৰথমবার কোনও অ-ইংরেজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ২০২১-এই শেষদিকে ম্যানেজারের ভূমিকা নিয়োগ করা হয় সারিনা ওয়েগম্যানকে। দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা অপরাজিত ছিলেন তিনি। ফাইনালে প্ৰথমবার হারের মুখ দেখলেন তিনি।
মহিলাদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনিই দ্বিতীয় ম্যানেজার যিনি দুটো আলাদা আলাদা দেশকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুললেন। ইংল্যান্ডকে এবার ফাইনালে পৌঁছে দেওয়ার আগে ২০১৯-এ নেদারল্যান্ডসকে ফাইনালে তুলতে বড়সড় ভূমিকা নেন। সেবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সারিনার ডাচ ব্রিগেড হেরে যায় ০-২ ফলাফলে।
এর আগে ইংল্যান্ড অথবা স্পেন কেউই মহিলা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়নি। তাই ফাইনালের লাইন আপ চূড়ান্ত হওয়ার পরই বোঝা গিয়েছিল নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে চলেছে বিশ্ব ফুটবল।